বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সব থেকে জনপ্রিয় অঙ্গ সংগঠনের নাম হলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ছাত্রদের নিয়ে তৈরী হয়েছে মুলত এই ছাত্র সংগঠনটি। তবে এই সংগঠন নিয়েই অনেক সময় বেধেছে অনেক বিপত্তি। সম্প্রতি আবারো পাওয়া গেল তেমন একটি খবর।কুমিল্লায় ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ সভায় সোহাগ গাজী নামের এক ছাত্রলীগ নেতার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
সোহাগ গাজী কুমিল্লার লালমাই উপজেলার লালমাই সরকারি কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। বর্তমানে ওই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সে লালমাই সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
সম্প্রতি তার বক্তব্যের একটি ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ১৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যরা আজ ২১শে আগস্ট ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন।
তিনি এ কথা বলার সাথে সাথে উপস্থিত এক ব্যক্তি বলেন, আরে ভাই বঙ্গবন্ধু সেদিন মারা যাননি, বঙ্গবন্ধু আগেই মারা গেছেন। এ কথা শুনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ গাজী দ্রুত ‘তাদের পরিবারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি’ বলে বক্তব্য শেষ করেন। এ সময় লালমাই কলেজ ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তার বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। বুধবার (২৪ আগস্ট) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে তাকে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে যেতে বাধ্য করা হয় এবং ভুল স্বীকার না করে তিনি বলেন, এটা বিএনপির ষড়যন্ত্র।
ওই লাইভে তিনি বলেন, আমি ভুল কিছু বলিনি, বলতে চেয়েছিলাম আগস্টে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে শেষ করার চেষ্টা হয়েছিল। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে যেমন হত্যা করা হয়, তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যার চেষ্টা করা হয়। আমি যে মানে. কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি লাইভে বলেন, যারা ভিডিওটি ভাইরাল করেছে, তারা আমার জনপ্রিয়তার ঈর্ষা থেকে এটা করেছে। আমি ভুল কিছু করিনি বা বলিনি।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ গাজী বলেন, সদর দক্ষিণ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তুহিন হোসেন রাজনীতিতে আসেন। সেদিন তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকায় আমাকে কথা বলতে হয়েছিল। যে বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে, আসলে আমি সেটা বলতে চাইনি। আমি বলতে চাইছিলাম ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হয়েছিল। সেটা বলার আগেই কেউ বলেছে, বঙ্গবন্ধু আগে মারা গেছেন। এটা সম্পূর্ণ বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র। তারা এটা এডিট করে ভাইরাল করেছে আমাকে হেয় করার জন্য।
এ দিকে কুমিল্লার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক তুহিনকে অবগত করা হয়েছে বিষয়টি। তবে এ নিয়ে তিনি একটাই সাফাই দিয়েছেন। তিনি বলেছেন সোহাগ ছোট মানুষ এটা তার স্লিপ অব টাঙ। তিনি আরো বলেন আমি এখন রয়েছি সাজেকে সেখান থেকে ফিরে এসে এটা নিয়ে তদন্ত করবো এবং সংবাদ সন্মেলন করে জানাবো।