বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের স্মরণে ২০২২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত স্মরণসভায় ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেই হামলার পর আহত শিক্ষার্থীদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, সেখান থেকেই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন ছিলেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
আজ সোমবার (৭ অক্টোবর) আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড এবং ২০২২ সালের নিজের গ্রেপ্তার ও কারাবরণ নিয়ে ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্ট করেছেন আসিফ মাহমুদ।
পোস্টে তিনি লেখেন, “আগ্রাসনবিরোধী লড়াইয়ে আমাদের পথিকৃৎ ছিলেন আবরার ফাহাদ। তিনি আমাদের শিখিয়ে গেছেন কীভাবে আপসহীনভাবে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হয়।”
আসিফ মাহমুদ আরও উল্লেখ করেন, আবরারের শাহাদাতের খবর পেয়ে মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যে তারা প্রথম বিক্ষোভ মিছিলটি সংগঠিত করেছিলেন। “দিল্লি না ঢাকা” স্লোগান নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই মিছিল হয়।
আবরারকে কখনও ভুলেননি জানিয়ে আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, “২০২২ সালের স্মরণসভায় যখন আমরা আবরারকে স্মরণ করতে গিয়েছিলাম, তখন ছাত্রলীগ আমাদের ওপর হামলা চালায়। ঢামেকে আহত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়। আমি সহ ২৪ জনকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করা হয়। এখন আবরারকে স্মরণ করতে গিয়ে আর হামলা কিংবা গ্রেপ্তার হতে হবে না। এটাই সময়ের পার্থক্য।”
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ৩৭ দিনের তদন্ত শেষে ১৩ নভেম্বর মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় এবং দুই বছরের মধ্যে আদালত রায় ঘোষণা করেন।