অর্ন্তজাতিক মানের বেশ কিছু সংস্থা রয়েছে যারা কিনা বিশ্বের বিভিন্ন বিষয়ের উপর নানা ধরনের জরিপ করে থাকে। এবং বিশ্বের সেরা সকল বিষয়বলি তালিকা বন্ধ করে থাকে। এমনকি একটি সংস্থা যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স’। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের সকল দেশের পাসপোর্টের র্যাংকিং প্রকাশ করেছে। এই র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত উঠে এলো প্রকাশ্যে।
বিশ্বের ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট সূচক মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারী) প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স’। ২০২২ সালের শক্তিশালী এই পাসপোর্ট সূচকে পাঁচ ধাপ উন্নতি ঘটেছে বাংলাদেশের। হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্সের এই সূচকে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচকে গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় ৫ ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। অক্টোবরে এই সূচকে বাংলাদেশ ১০৮তম অবস্থানে থাকলেও এ বছর কসোভো এবং লিবিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে ১০৩তম অবস্থানে উঠে এসেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান (১০৮তম) এবং নেপালের (১০৫তম) চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। হ্যানলির সূচক অনুযায়ী, বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে ৪০টি দেশে ভিসা ছাড়া কিংবা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করা যায়।
এবারের এই সূচকে যৌথভাবে শীর্ষে থাকা জাপান এবং সিঙ্গাপুরের পাসপোর্টের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা ১৯২। অর্থাৎ জাপান এবং সিঙ্গাপুরের পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের ১৯২টি দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ সুবিধা পাবেন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মালদ্বীপের পাসপোর্ট সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে (৫৮তম) রয়েছে। এই দেশটির পাসপোর্টধারীরা ৮৮ দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারবেন। মূলত ভিসা ছাড়াই একটি পাসপোর্ট দিয়ে কতটি দেশে ভ্রমণ করা যায় তার ওপর ভিত্তি করেই এই সূচক তৈরি করা হয়। তবে করোনা মহামারির কারণে অনেক দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এবারের তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে সেটি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। তবে প্রতিবেশী ভারত সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে। হ্যানলির এই পাসপোর্ট সূচকে ভারতের উন্নতি ঘটেছে। ৮৩তম অবস্থানে থাকা এই দেশটির পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের ৬০টি দেশে ভিসা ছাড়া যেতে পারবেন।
প্রতিবছরেই যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স’ বিশ্বের সকল দেশের স্বমনয়ে পাসপোর্টের র্যাংকিং প্রকাশ করে থাকে। গত দুই বছরে চলমান বৈশ্ভিক সংকটের মধ্যেও এই র্যাংকিংয়ে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে জাপান। এছাড়াও অনেক দেশই নিজেদের অবস্থানের পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। এদের মধ্যে একটি দেশ বাংলাদেশ। ২০২২ সালে একবারে ৫ ধাপে উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের।