চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জয়নুল আবেদীন জনি ওরফে তৌফিককে ১ বছরের সাজা প্রদান করেন আদালত। তবে আদালতের দেয়া এই সাজা থেকে বাঁচতে দীর্ঘ ৮টি বছর ধরে পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু এতো চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হলো না তার। শেষমেষ পুলিশের হাতেই ধরা পড়তে হলো তাকে।
রোববার (১০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন। এর আগে একই দিন সকালে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি সদর উপজেলার বেলগাছি গ্রামের মাদরাসা পাড়ার নুরুল হোসেনের ছেলে জয়নুল আবেদীন জনি ওরফে তৌফিক।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, ২০১০ সালে ঢাকায় পুরাতন গাড়ির ব্যবসা শুরু করেন তৌফিক। ২০১২ সালে আবারও ঋণ নিয়ে সিলেটে ট্রান্সপোর্ট ও মোটরপার্টসের ব্যবসা শুরু করেন তিনি। পরে ২০১৩ সালে সর্বমোট প্রায় আড়াই কোটি টাকা ঋণী হয়ে পড়েন।
তিনি জানান, ২০১৩ সাল থেকে বিভিন্ন সময় ঢাকা ও চুয়াডাঙ্গা আদালতে তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই বছরই তার সাজা হয়। এরপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। এদিকে রোববার (১০ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময়ে তার বিরুদ্ধে ১০টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে দাবি করে গণমাধ্যমকে ওসি মোহাম্মদ মহসীন আরো জানান, দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকা তৌফিকের বিরুদ্ধে ৬টি সাজা পরোয়ানাসহ মোট ১০টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এ অভিযোগের আলোকে ররিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।