দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে করা রিটের শুনানিতে আইনজীবীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বলেছেন, তারা ২০১৮ সালে রাতে ভোটের কথা বলছেন। রাজনৈতিক মঞ্চে এসব বক্তব্য দেওয়া হবে। . আদালতে প্রমাণ ছাড়া কথা বলবেন না। রাতে ভোট নিয়ে কোনো মামলা হয়েছে কি? কোন সাক্ষী প্রমাণ দিন। অনুমানের উপর ভিত্তি করে কথা বলবেন না।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ মন্তব্য করেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো.
শুনানির একপর্যায়ে রিট আবেদনকারী অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, আমি ১৮ সালে সংসদ সদস্য ছিলাম। রাতে ভোট দিয়েছি। এরপর আদালত বলেন, রাতে যে ভোট হয়েছে, সেখানে কি মামলা হয়েছে? কোন তথ্য প্রমাণ বা সাক্ষী আছে? পাবলিক প্লেসে এসব বক্তব্য দেন?
ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, ওই রাতে যে ভোট হয়েছিল তার সাক্ষী আমি এবং ১৮ কোটি মানুষ।
শুনানি শেষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে করা রিটের আদেশের জন্য ১০ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
আতাবুল্লাহ হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশের জন্য এ তারিখ ধার্য করেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো.
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তাকে সহায়তা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
এর আগে একটি সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় আরেকটি সংসদ নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ। রিট আবেদনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ ৭ জনকে বিবাদী করা হয়।
গত মঙ্গলবার আইনজীবী এ আইনি নোটিশ পাঠান। বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের কথা উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়। এ ছাড়া প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে হবে। তবে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর এবং নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। তাহলে মনোনয়ন ফরমের সঙ্গে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করা কিভাবে সম্ভব হবে।
এছাড়া হরতালের ফলে দেশে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি নন। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের কাছে নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে পুনরায় তফসিল ঘোষণার দাবি জানানো হয়।