Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / Entertainment / ১৮ বাবার একটা সন্তান কখনও মানুষ হয় না: অনন্ত জলিল

১৮ বাবার একটা সন্তান কখনও মানুষ হয় না: অনন্ত জলিল

সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত শিল্পী সমিতি নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে হলো অনন্ত জলিলকে। তিনি তার বক্তব্যে জানান, নির্বাচন তো নয় এটা সমিতির সদস্যের মধ্যে যেন কাদা ছোড়াছুড়ি। নির্বাচনকে ঘিরেই বিএফডিসিতে ( BFDC ) ঘটলো সব ধরনের নোংরামি। শিল্পাঙ্গনকে একটি নিদারুন পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাওয়া হলো। নির্বাচনের কারণে চলচ্চিত্র শিল্প পৌঁছালো এক বড় ধরনের অবস্থায়।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান অভিনেতা, প্রযোজক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল বলেছেন, ১৮ পিতার সন্তান কখনো মানুষ হয় না।বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির(  Bangladesh Film Industry Association ) নির্বাচনকে ঘিরে চলচ্চিত্র অঙ্গনে যে সব বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চলছে, মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।শিল্পী সমিতির নির্বাচনের কাদা ছোড়াছুড়িতে ও দলাদলি ইস্যুতে আমি খুব ক্ষু’ব্ধ ও হতাশ ।তার মতে, নির্বাচন না হলে বিএফডিসিতে ( BFDC ) এসব নোংরামি ঘটত না। সিনেমা অঙ্গনের এমন জরাজীর্ণ অবস্থা হতো না।

মোস্ট ওয়ান্টেড তারকা বলেন, আমাদের সম্মানিত শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক এবং যারা চলচ্চিত্রে কাজ করবেন; এমন সদস্য নিয়ে কমিটি হলে চলচ্চিত্রের একজন বাবা থাকত! কিন্তু এখন ১৮টি সংগঠনের সভাপতি মানেই ১৮ জন বাবা! ১৮ পিতার সন্তান কখনো মানুষ হয় না। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় অনন্ত জলিল তার নতুন চলচ্চিত্র দিন দ্য ডে এর গান প্রকাশ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন।

বাছাই পদ্ধতি নিয়ে ক্ষুব্ধ এই অভিনেতা। নির্বাচন নিয়ে সব ক্ষো’ভ প্রকাশ করে নায়ক বলেন, কিছুই খুব ভালো নয়। আমি প্রথম থেকেই নির্বাচনের বিপক্ষে। নির্বাচনের কারণে শিল্প আজ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে। নিপুন বা জায়েদ কে বেছে নিবে সেটা বড় কথা নয়। তারা একে অপরকে দোষারোপ করছে,  সেটা বিষয় নয়। এখানে প্রধান সমস্যা নির্বাচন! অনন্ত জলিল এর আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, তিনি কখনোই প্রাসঙ্গিক রাজনীতি বা নির্বাচনের মাঠে নামবেন না।

তিনি জানান, ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির ( Bangladesh Shilpi Samiti ) নির্বাচনে অংশ নেননি। ভোটের দিন তিনি দেশে ছিলেন না। সুদূর তুরস্ক ( Turkey ) থেকে নির্বাচনে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, শিল্পী সমিতির প্রধান উদ্দেশ্য, নির্বাচনে জয়যুক্ত হয়ে চলচ্চিত্র শিল্পকে উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করা। যেভাবে কাদা ছোড়াছুড়ি হচ্ছে, সেটা থেকে যদি বেরিয়ে না আসতে পারে। ভবিষ্যতে খুব খারাপভাবে এর মূল্য দিতে হবে। চলচ্চিত্র শিল্পকে জরাজীর্ণ অবস্থা থেকে বের করে আনতে, সমস্ত শিল্পীদেরকে নিজ স্থান থেকে, সততার সাথে কাজ করে যেতে হবে।

About bisso Jit

Check Also

আপত্তিকর সেই ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন তিশা (ভিডিও)

সম্প্রতি ঢাকার দোহার উপজেলার এক জমিদার বাড়িতে নাটকের শুটিং চলাকালীন ঘটে বিব্রতকর একটি ঘটনা। ‘প্রেমিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *