গত ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশ থেকে শত শত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী বৈধ ও অবৈধ উপায়ে ভারতে আশ্রয় নেন। অনেকেই রাতারাতি দেশ ত্যাগ করলেও ভারতে পৌঁছে কোনো আর্থিক সংকটে পড়েননি। তারা পূর্ব থেকেই ভারতে গড়ে তোলা সম্পদ এবং বাংলাদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো অর্থের মাধ্যমে স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে শত শত কোটি টাকা ভারতে পাচারের মাধ্যমে নিয়ে আসার অভিযোগে ভারতের অন্তত ১৭টি জায়গায় সোমবার (১১ নভেম্বর) সকাল থেকে চলছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটেরের (ইডি) অভিযান।
ভারতের ১৭টি জায়গার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই ১২টি জায়গায় চলছে ইডির অভিযান। জানা গেছে, ঝাড়খণ্ডের একটি মামলার সূত্র ধরে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যমগ্রাম এলাকার বাসিন্দা পিংকি বসু নামে এক নারীর সন্ধান পায় ইডি। ইডির অভিযোগ সাম্প্রতিক সময়ে শত শত কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করেছেন এই নারী। সূত্রের খবর বর্তমানে জেল হেফাজতে থাকা বাংলাদেশের সাবেক সংসদ সদস্য ও শিল্পপতির ঘনিষ্ট বান্ধবী ছিলেন এই নারী। এই নারীর মধ্যগ্রামের তিনটি ফ্ল্যাট, বারাসাতের দুটি ফ্ল্যাট, একটি বার কাম রেস্তোরাঁয় সোমবার সকাল থেকে চলে চিরুনি তল্লাশি। তবে তার থেকে কত নগদ অর্থ বা সম্পদ উদ্ধার হয়েছে সেই বিষয়ে স্পষ্ট করেনি ইডি।
পিংকি বসুর বিরুদ্ধে নারী পাচারের অভিযোগও আনা হয়েছে। পাশাপাশি, ভারতীয় সীমান্তবর্তী বনগাঁর পেট্রাপোল এলাকায় ট্যাক্সি চালক পিন্টু হালদার এবং সীমান্ত ব্যবসায়ী পার্থ সাহার বাড়িতেও অভিযান চালিয়েছে ইডি। তাদের বাড়ি ঘিরে রাখা হয়েছে এবং তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।