সব মামলা থেকে খালাস পাওয়ার পর, আজ (১৯ জানুয়ারি) ১৭ বছর পর কারামুক্ত হচ্ছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তিনি আজ দুপুরে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।
গত মঙ্গলবার, চট্টগ্রামে আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলায় অস্ত্র আইনের অভিযোগ থেকে খালাস পান লুৎফুজ্জামান বাবর। হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। এর মাধ্যমে তিনি তার বিরুদ্ধে চলমান সব মামলায় খালাস পেয়েছেন, ফলে বাবরের মুক্তির পথে আর কোনো বাধা রইল না।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক জান্নাত-উল-ফরহাদ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হাইকোর্টের রায়ের কপি চট্টগ্রাম আদালতে পাঠানো হবে এবং তারপর তা সংশ্লিষ্ট কারাগারে যাবে। আদেশের কপি পাওয়ার পর বাবরকে মুক্তি দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় কারাগারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে লুৎফুজ্জামান বাবর বৃহস্পতিবার দুপুরে মুক্তি পেতে পারেন।
বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুজ্জামান বাবরের মুক্তির খবরে তার এলাকাসহ ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনায় উল্লাসের সৃষ্টি হয়েছে। বাবরের নির্বাচনি এলাকা ছাড়াও বেশ কয়েকটি স্থানে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। নেতার মুক্তি উপলক্ষে দলের নেতাকর্মীরা ঢাকায় এসে কারা ফটক থেকে বাবরকে বরণ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বাবরের স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবনী তার স্বামীর মুক্তির পর জানান, “দীর্ঘ ১৭ বছর পর আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের জনগণ তার মুক্তির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল, এবং বাবরও জনগণের কাছে ফিরে যেতে উদগ্রীব।”
লুৎফুজ্জামান বাবর ২০০৭ সালের ২৮ মে গ্রেফতার হন। তাকে বিভিন্ন মামলায় দণ্ডিত করা হয়, এর মধ্যে দুটি মামলায় মৃত্যুদণ্ড এবং একটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছিল। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং পরবর্তী আপিল শুনানির পর একে একে সব মামলায় খালাস পান। ২৩ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় ৮ বছরের সাজা থেকে এবং ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খালাস পান তিনি। ২১ আগস্টের মামলায় বাবরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।