সম্প্রতি বিয়ে বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটচ্ছে প্রায়। আর এ কারনে ভাঙ্গছে বহু পরিবার। যার ফল ভোগ করতে হয় পরিবারের সদস্যদের। সংঘঠিত হয় বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড। এবার বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে এক নারী ঘটল এক ব্যতিক্রম ঘটনা্।
পেশাগত কাজের সূত্রে শহরের বাইরে থাকেন স্বামী। তবে পরিবার ও বাড়ি থেকে দূরে থাকলেও তিনি স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। এভাবে একে একে কেটে গেল ১৮টি বছর। এর মধ্যে তাদের সংসারে তিন কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে।
তবে প্রায় দেড় যুগের সংসারের অবসান ঘটিয়ে এখন স্ত্রীকে তালাক দিতে চান তিনি। কারণ, সম্প্রতি ডাক্তারি পরীক্ষায় জানা গেছে, তাঁর তিন সন্তানের কারও পিতা তিনি নন। ডাক্তারি রিপোর্ট আসার পর থেকে স্ত্রীও পলাতক।
ঘটনাটি ঘটেছে চীনে। বৃহস্পতিবার সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বিয়ের ১৭ বছর পর তার স্ত্রীকে তালাক দিচ্ছেন। কারণ, তাঁর পরিবারে বড় হওয়া তিনটি কন্যা সন্তানের কেউই ওই ব্যক্তির জৈবিক সন্তান নয় বলে বেরিয়ে এসেছে।
ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির নামের শেষাংশ চেন। অন্যদিকে, তার স্ত্রীর নামের শেষ অংশটি ইউ। যিনি চীনের পূর্বাঞ্চলীয় জিয়াংসি প্রদেশে বসবাস করেন, তিনি তার স্ত্রীর কাছ থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চাইছেন এবং এ লক্ষ্যে তিনি একটি তালাকনামা দায়েরও করেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন যে বিয়ের পর থেকে তার স্ত্রী তার সাথে প্রতারণা করেছে এবং তাদের পরিবারে তিনটি মেয়ে থাকলেও তার স্ত্রী অন্য একজনের মাধ্যমে গর্ভধারণ করেছিলেন।
চীন জিয়াংজি রেডিও এবং টিভি স্টেশন বুধবার জানিয়েছে যে তার স্ত্রী ইউ, বছরের শুরু থেকে চেনের ফোন এড়িয়ে চলছিল। স্ত্রী এমনকি চেনকে বলেছিলেন যে তিনি বাড়ি থেকে দূরে কাজ করতে চান। এরপর ইউকে নিয়ে চেনের সন্দেহ বাড়তে থাকে।
পরে, চেন ইউ-এর মোবাইল ফোনের জিপিএস ট্র্যাক করেন। ১লা মার্চ তিনি পূর্ব চীনের একটি হোটেলে অবস্থানরত তার স্ত্রীকে শনাক্ত করেন। পরদিন সকালে চেন দেখেন তার স্ত্রী হোটেল থেকে একজন লোকের সাথে চেক আউট করছে। চেন নিশ্চিত ছিলেন যে ইউ-এর সাথে লোকটির সম্পর্ক রয়েছে।
ঘটনার পর চেন প্রাথমিকভাবে ইউকে ক্ষমা করে দিলেও তার ডাক্তারি পরীক্ষা করেন। আর, এতেই বের হয় তাঁদের কনিষ্ঠ কন্যা অন্য পুরুষের মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করেছে। পৃথক পিতৃত্ব পরীক্ষায় পরে জানা যায় যে দম্পতির অন্য দুটি কন্যা চেনের জৈবিক সন্তান নয়। এবং তারপরে তিনি তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তবে পিতৃত্ব পরীক্ষায় আসল সত্য বেরিয়ে আসার পর পালিয়ে যান ইউ। পরে অবশ্য ইউকে মিডিয়া খুঁজে বের করে এবং সাক্ষাৎকার নেয়। অভিযুক্ত মহিলা অনুশোচনা প্রকাশ করলেও তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেননি বলে দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, ওই নারী তার স্বামী কাছে না থাকায় অন্যের সাথে সম্পর্কে জড়ায়। আর সেভাবে তার তিন সন্তান জন্ম নেয়। পরে বিষয়টি তার স্বামী বুঝতে পারলে সে ওই নারীকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।