গত ১৬ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৯৩ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে, যা বিশ্বের প্রায় ৯০টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের সমান। অর্থ পাচারের এই বিপুল পরিমাণ দেশের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই পাচারের প্রভাব দেশের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক ছাপ ফেলছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অবকাঠামোসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে এই অর্থ ব্যয় করা হলে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারত। কিন্তু পাচারের ফলে সরকারের হাতে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব দেখা দিচ্ছে, যা উন্নয়নের গতি কমিয়ে দিচ্ছে।
বিশ্লেষকরা আরও মনে করেন, এই অর্থ পাচার বৈদেশিক মুদ্রার সংকটকে তীব্রতর করছে, যা রিজার্ভের ওপর চাপ ফেলছে এবং মুদ্রার বিনিময় হারকে প্রভাবিত করছে। পাচারকৃত অর্থের সুষ্ঠু পুনরুদ্ধার এবং পাচার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে দেশের অর্থনীতি আরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে তারা সতর্ক করেছেন।
এ বিষয়ে সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও পাচার রোধে একটি শক্তিশালী ও কার্যকর কৌশল প্রয়োজন। দেশ থেকে অর্থ পাচার বন্ধ করতে না পারলে আর্থিক স্থিতিশীলতা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।