খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পতনের দাবিতে ভৈরব থেকে শুরু হয়েছে বিএনপির রোডমার্চ। সিলেটের এই রোডমার্চে বিএনপি নেতাকর্মীরা নেমে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ২০ মিনিটে ভৈরব বাসস্ট্যান্ডে উদ্বোধনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ রোডমার্চে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
পূর্বঘোষিত রোডমার্চ শুরুর আগেই জমজমাট হয়ে ওঠে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকা। ওই এলাকায় নেতাকর্মীদের উপচে পড়া ভিড়। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল নিয়ে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। রোডমার্চ শুরুর পর ভৈরব সেতু, আশুগঞ্জ পার হয়ে সিলেট অভিমুখে যাত্রা করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড মোড়, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ জংশন ও মৌলভীবাজারের শেরপুরে তিনটি পথসভা হবে।
এরপর সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সমাপনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছাড়াও সিলেটের স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন।
এর আগে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি শরিফুল আলমের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী সভায় বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড.এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুল হক প্রমুখ। রহমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন নবী সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান প্রমুখ।
সরকার পতনের দাবিতে ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল থেকে পটুয়াখালী, ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগ, ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ, ৩ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোডমার্চ করবে বিএনপি। বিএনপির সমমনা দলগুলোও ঢাকায় কর্মসূচি পালন করছে।