বিএনপির কর্মসূচি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি টাকা দিয়ে ক্যাডারদের ঢাকায় আনছে। তাদেরকে বাড়তি পোশাক নিয়ে আসতে বলেছে। তারা ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আসছে। আত্মীয়দের বাড়িতে, আবাসিক হোটেলে এসে উঠেছে। তারা ঢাকায় আসছে নাশকতা করতে।
তিনি বলেন, তারা নাশকতা করতে চাইবে। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। তারা বাড়াবাড়ি করতে চায়। আওয়ামী লীগও প্রস্তুত আছে। বাড়াবাড়ি করলে খবর আছে।
মঙ্গলবার ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধা বৃত্তি, দরিদ্র তহবিলে অনুদান ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদেশ থেকে কোনো বার্তা চলবে না, যতদিন জনগণ একসঙ্গে থাকবে, কোনো বার্তা কোনো কাজে আসবে না। ১৫ বছরে ১৫০০ বার্তা দিয়েছে। মরা গাঙ্গে জোয়ার আসে না।। ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পকেট গরম, তাই তার মাথাও গরম। এই টাকা কোথা থেকে এসেছে, তারেক রহমান দিয়েছেন? যতই মেসেজ দাও না কেন কোন লাভ হবে না। আমাদের সঙ্গে দেশের মানুষ আছে, কোনো বার্তা দিয়ে কাজ হবে না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার মানবতা দেখিয়ে খালেদা জিয়াকে বাসায় চিকিৎসার সুযোগ দিয়েছে। তাই বিএনপি বা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কান্নাকাটি ও প্রতিবাদ করে লাভ নেই। তাদের আন্দোলনকে দেশের মানুষ ভয় পায় না।
বিদেশিদের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশি-বিদেশি অনেকেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলেন। আমরা আমাদের দেশি-বিদেশি বন্ধুদের জানাতে চাই, আমরা সংবিধানের আলোকে একটি গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করব। সংবিধানের বাইরে এক চুলও নড়ব না।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ২৮টি আসনে জয়লাভ করেছিল। তারা গণতন্ত্রের কথা বলে। আমরা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করব এবং দেখাব যে আমরা গণতন্ত্র চাই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “৭৫-এর খুনিদের নিয়ে রাজনীতি করতে হবে, এটাই আওয়ামী লীগের দুর্ভাগ্য। জিয়া এদেশে খুনের রাজনীতি শুরু করেছেন। ১৫ আগস্ট উদ্যোক্তা জিয়া এবং ২১ আগস্ট উদ্যোক্তা খালেদা-তারেক।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির চেয়ারম্যান একেএম রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।