সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালীর সন্তান হলো বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। তিনি বাংলার মানুষের জন্য যতটা আত্মত্যাগ দিয়ে গেছেন তা বাংলার মানুষের কোনোদিন ভুলতে পারবেনা এবং তাকে বুকে ধারণ করে চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করবে। সম্প্রতি জানা গেছে ১৫ আগস্টের শোকসভায় বক্তব্য দেওয়ায় বিএনপির দুই নেতাকে শোকজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দিদার হোসেন ও তেরখাদা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন জমাদ্দারকে নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য মো. তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার জবাব দিতে ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম এনামুল হকের একের পর এক দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় নিন্দা জানিয়েছে জেলা বিএনপি। গতকাল শনিবার তাদের শোকজ করা হয়।
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান ও সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকীর শোকসভায় জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য মোঃ দিদার হোসেনের এমন আচরণ। বিএনপির দায়িত্বশীল অবস্থান দলের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ।
এছাড়াও তেরখাদা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন জমাদ্দার নিজ এলাকায় ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকীর শোক সভায় বক্তব্য রাখেন। বিএনপির দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে এমন আচরণ সংবিধান বিরোধী ও দলীয় শৃঙ্খলার লঙ্ঘন। তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- এ বিষয়ে খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে ৭ দিনের মধ্যে যুক্তিযুক্ত জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তারা বলেন, অপরদিকে গত ৩১ জানুয়ারি বিএনপির জাতীয় ঘোষিত কর্মসূচি সফল হওয়ায় পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডাঃ এনামুল হক আব্দুর মজিদ ও সিনিয়র নেতা আব্দুল মজিদ গোলদারকে গাড়িতে করে নেতাকর্মীদের সামনে গালিগালাজ করেন। পরে কৃষকদল কেন্দ্রের ঘোষিত কর্মসূচি সফল হওয়ার পর গত ৭ আগস্ট নেতাকর্মীরা খুলনা মহানগরীতে এসে ফেরিঘাট মোড়ে কৃষকদলের সভাপতি মেছের আলীকে নেতাকর্মীদের সামনে মারধরের চেষ্টা করে। কর্মী এর আগে গত ১১ এপ্রিল পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে একইভাবে বহিষ্কার করা হয় উপজেলা বিএনপির সভাপতি মজিদ গোলদারকে।
তাছাড়া খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির কর্মসূচিতে খুলনায় যাওয়ার পথে চাঁদখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হান্নানের সঙ্গে গাড়িতে করে একই ঘটনা ঘটে। প্রতিটি ঘটনার পরপরই এসএম এনামুল হককে মৌখিক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছেন নেতারা। বিএনপির দায়িত্বশীল পদে থেকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ দলের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণ। কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে ৭ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা ও জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জাতির পিতার প্রয়ানের দিন ১৫ আগস্ট হলো বাংলার মানুষের শোকের দিন, এই দিনে সবাই শোক পালন করে থাকে। এই দিনেই বাঙ্গালী হারিয়েছে তাদের জাতির পিতাকে। বাংলাদেশ হারিয়েছে তার বীর সন্তানকে। তার মতো বীর সন্তান বাংলার মাটিতে আর আসবে কিনা সন্দেহ আছে।