অবশেষে শাস্তির আওতায় আনা হলো অভিযুক্ত প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিনকে। কিন্তু কি দন্ড দেওয়া হলো! কম শাস্তি দেওয়া হলো, নাকি বেশি! প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিন গত ২৬ সেপ্টেম্বর ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন। কিন্তু দির্ঘ এতদিন পর যে শাস্তি তাকে দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় শিক্ষার্থীরা, এমন বিচারের উপর অনেকেরই অভিযোগ। তাদের মতে এমন শাস্তি চাইলেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্ত্রিপক্ষ ঐ সময়ই দিতে পারত।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ছাত্রের চুল কাটার ঘটনায় অভিযুক্ত প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিনকে অবশেষে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ফারহানাকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের তিনটি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নেওয়া শাস্তির প্রশাসনিক আদেশ গতকাল রবিবার বিকেলে নোটিশ বোর্ডে টাঙানো হয়েছে।
তবে এ শাস্তিকে লঘু বলে দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, এমন সিদ্ধান্ত একাডেমিক কাউন্সিলে অনেক আগেই নেওয়া যেত। নাটকীয়তার প্রয়োজন ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেনের সই করা ওই অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের পাঠদান, পরীক্ষা গ্রহণসহ অন্য সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অভিযুক্ত প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিনকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশটি গতকাল বিকেলে বোর্ডে টাঙানো হলেও রেজিস্ট্রার এতে সই করেছেন ২১ নভেম্বর।
উল্লেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দিয়েছিলেন ফারহানা ইয়াসমিন।
অভিযুক্ত ঐ শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার পর নড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আনদোলন করে ঐ শিক্ষকের বহিস্কারের দাবিতে। অবশেষে তাকে শাস্তি দেওয়া হলো। কিন্তু বহিস্কার করা হয়নি স্থায়ীভাবে।