১৬ বছর আগে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রায় আজ মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এ রায় ঘোষণা করবেন।
এর আগে ২২ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম ৩০ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। ওই দিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
এ মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি দুদকের। ফলে বিএনপি নেতার ১৩ বছরের কারাদণ্ডের আশা করছে সংগঠনটি। একইসঙ্গে তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আশা করছে দুদক। তবে মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী দাবি করেছেন, দুদকের আনা অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। দুদক অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। রায়ে মির্জা আব্বাস খালাস পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপ-পরিচালক মোঃ শফিউল আলম মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে এ অভিযোগ করেন।
তদন্তে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ২২ লাখ টাকার তথ্য গোপন করার অভিযোগ ওঠে। ১৬ জুন, ২০০৮ তারিখে, আদালত দুদক আইনের ২৬(২) এবং ২৭(১) ধারায় অভিযোগ দায়ের করে মামলার বিচার শুরু করার নির্দেশ দেন। শুনানি চলাকালে আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
এ মামলায় মির্জা আব্বাসসহ পাঁচজন সাক্ষ্য দেন। তাদের মধ্যে বাকি চারজন হলেন অ্যাডভোকেট একেএম শাহজাহান এবং এনআরবি ব্যাংকের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট নুরুল হোসেন খান, শাহজাহান মিয়া ও কাজী শিফাউর রহমান হিমেল।
উল্লেখ্য গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। মামলায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৭০০/৮০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। পরে এ মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ মামলায় গত ১ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন মির্জা আব্বাসের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।