বাগেরহাট থেকে ১১ বছরের মেয়েকে নিয়ে খুলনায় ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন এক গৃহবধূ। তাদের সাথে ছিলেন ঐ গৃহবধূর ভাগ্নে বাবু। গতকাল (মঙ্গলবার) ডাক্তারের সিরিয়াল পাননি তারা, তাই তারা শহরের হাদিস পার্কের পাশে অবস্থিত সুন্দরবন আবাসিক এলাকায় দুটি রুম ভাড়া নিয়ে থেকে ডাক্তার দেখাবেন বলে ঠিক করেন।
গভীর রাতে হোটেলের একটি কক্ষে মেয়ের সামনে মায়ের সাথে গর্হিত কাজ করেন কেএমপি ডিবির এসআই মো. জাহাঙ্গীর আলম। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পরবর্তীতে ঐ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সুন্দরবনের হোটেলের ৩১৩নং কক্ষে গৃহবধূ তার মেয়েকে নিয়ে এবং ৩০৮নং কক্ষে ভাগ্নে থাকেন। বুধবার দিবাগত রাত ২টা ১৫ মিনিটের দিকে হোটেলের বয় গোলাম মোস্তফাকে সঙ্গে নিয়ে ডিবির এসআই মো. জাহাঙ্গীর আলম ৩১৩নং কক্ষে গিয়ে নক করে। এ সময় তারা পুলিশ পরিচয় দিলে গৃহবধূ কক্ষ খুলে দেয়।
পুলিশ গৃহবধূকে জেরা করে সঙ্গে থাকা মেয়েটি তার কি না। এ সময় পুলিশ হোটেল বয়কে কক্ষ থেকে বের করে মেয়েটির সামনে গৃহবধূকে গর্হিত কাজ করেন। পরবর্তীতে তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন চলে আসে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
পরবর্তীতে ওই গৃহবধূর ভাগ্নে ঘটনাটি হোটেল মালিককে জানায়, সেই সময় হোটেল মালিক পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ অভিযুক্তকে সেখান থেকে তাদের হেফাজতে নেয়। এ ব্যাপারে জোরপূর্বক গর্হিত কাজ করার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট আইন মামলা দায়ের হয়েছে।
মো. হাসান আল মামুন যিনি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছেন তিনি দেশের একটি গনমাধ্যমকে বলেন, মামলাটি হয়েছে এটা সঠিক। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়েছে।