সম্প্রতি রাজধানীর কাওরান বাজারের জ্যামে বাসে বসে ফনে কথা বলার সময় ছিনতাইকারী মোবাইল ফোনটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারিশার। সঙ্গে সঙ্গে বাস থেকে নেমে ছিনতাইকারীর পেছনে ধাওয়া দিলেও তাকে ধরতে পারে নাই। পরে ওই সময় আরেক মোবাইল ছিনতাইকারী পালানোর সময় তাকে ধরে ফেলেন। আটকৃত ওই ছিনতাইকারীর মাধ্যমে তার আরেক সঙ্গীকে আটক করে পুলিশের কাছে সোফার্দ করেন পারিশা। অবশেষে তার ফোনটি উদ্ধার করল পুলিশ।
গন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাহসী কন্যা’ পারিসার ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন ১১ দিন পর উদ্ধার করেছে তেজগাঁও থানা পুলিশ। এ সময় ছিনতাইকারীকেও আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ আলম মঙ্গলবার রাতে এনটিভি অনলাইনকে জানান, গত ২১ জুলাই রাজধানীর কাওরান বাজার থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারিশা আক্তারের মোবাইল ফোন উদ্ধার ও আসামিকে আটক করা হয়েছে। আজ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
ফোন উদ্ধারের খবর শুনে উচ্ছ্বসিত পারিসা আক্তার বলেন, মোবাইল ফোন পাওয়া আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। আমার গবেষণাপত্র জমা দিয়েছি খুব কষ্টে। আমি চাই ছিনতাইয়ের বিষয়ে একটি স্থায়ী সমাধান হোক।
গত ২১ জুলাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী পারিশা আক্তার সদরঘাটগামী তানজিল পরিবহনের একটি বাসে পুরান ঢাকা যাচ্ছিলেন। এদিকে কারওয়ান বাজারের যানজটে হঠাৎ জানালা দিয়ে তাঁর মোবাইলটি নিয়ে যায় ছিনতাইকারী। সঙ্গে সঙ্গে বাস থেকে নেমে ডাকাতকে ধাওয়া করেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়। ঠিক একইসময় এ তরুণীর চোখে পড়ে আরেকটি ছিনতাইয়ের দৃশ্য। এক নারীর ব্যাগ ছিনতাই করে পালাচ্ছিল অপর এক ছিনতাইকারী। তখনই ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মোবাইল পাওয়া বিষয়টি থেকে ছিনতাইকারীদের থেকে রক্ষা পাওয়ার স্থায়ি সমাধানের বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ন বলে মন্তব্য করেন ওই শিক্ষার্থী। তিনি চান এমন ঘটনা থেকে সাধারন জনগনের মুক্তি।