রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসের একাধিক দোকানে বাকি রেখে গা-ঢাকা দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দোকান মালিকদের অভিযোগ ও তাদের খাতার তথ্য অনুযায়ী, ছাত্রলীগের কাছে বাকি টাকার পরিমাণ ১০ লাখেরও বেশি। ছাত্রলীগ ক্যাম্পাস ছাড়ার পর থেকে দোকানিরা এই বিশাল অঙ্কের টাকা আদায় নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।
গত ১৬ জুলাই ছাত্রদের প্রতিরোধের মুখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত হয়। এরপর থেকে তাদের আর দেখা যায়নি। বিভিন্ন দোকানির অভিযোগ, খাবার হোটেল, চা-সিগারেট ও জুসের দোকানসহ অন্তত ২৫টি দোকানে তাদের বাকি রয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা। এর মধ্যে খাবারের দোকানে প্রায় ৬ লাখ, এবং জুস ও চা-সিগারেটের দোকানে প্রায় ৪ লাখ টাকা বাকি রয়েছে।
প্রতারণার অভিযোগ: ক্যাম্পাসের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে বাবুর খাবার হোটেলে ছাত্রলীগের বাকি রয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। হোটেল মালিক বাবু জানান, ছাত্রলীগের নেতারা বাকি চাইলে বিভিন্ন হুমকিও দিত। এভাবে তার হোটেলকে তারা সংকটে ফেলে দিয়েছে। অন্য দোকানিদের মধ্যেও অনেকে একই অভিযোগ করেছেন।
সবুজ স্টোরের মালিক নূর ইসলাম সবুজ জানান, বর্তমান ছাত্রলীগের নেতারা একেবারেই বাকি পরিশোধ করতেন না, এবং কিছু নেতার কারণে তার ব্যবসাও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা: ক্যাম্পাসের বেশিরভাগ দোকানি এখন দুশ্চিন্তায় রয়েছেন, বাকি টাকা আদায় হবে কি না তা নিয়ে। অনেকে ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও বেশিরভাগ নেতার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেছেন, “ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে দোকানিদের অভিযোগ গুরুত্বসহকারে দেখা হবে এবং বাকি টাকা পরিশোধ না হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”