সীতাকুণ্ডের ( Sitakunda ) কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা যেন একের পর এক বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ জানা যায়, এখন পর্যন্ত মৃ/ত্যু/র সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ১৬ জনে, এবং আ/হত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এই মুহুর্তে আহতরা নিকস্থ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এদিকে এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোদের মধ্যে একজন মমিনুল ( Mominul ) হক।
তিন মাস আগে তিনি বিএম কন্টেইনার ডিপোতে যোগ দেন। আগুন লাগার পরপরই, অর্থাৎ শনিবার রাত ( Saturday night ) সাড়ে নয়/দশটা নাগাদ ( ) ছেলেটির সাথে আমার প্রথম আলাপ হয়। প্রথমবারের মতো, ছেলেটি ডিপোতে রিপোর্ট করেছিল। তখন আমি তাকে দূরে থাকতে বললাম। ১০ মিনিট পরে, ছেলেটি ফোন করে বলে যে বাবা বিস্ফোরণে আমার একটা পা উড়ে গেছে। আমি মা/’রা যাচ্ছি বাবা, আমাকে মাফ করে দিও।
শনিবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে বসে এসব কথা বলেন নি/’হ/’ত মমিনুল হকের বাবা ফরিদুল ইসলাম।
ওটুকু ফোনে কথা বলার পর লাইন কেটে যায় বলে জানান তিনি। রাত ১টার পর হাসপাতালে এসে ছেলের লা’শ দেখতে পাই।
এদিকে গতকাল রাত থেকে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জানা গেছে, উদ্ধার কাজ চালাতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা প্রাণ হারিয়েছেন, এবং আহত হয়েছেন অনেকেই।