জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে অনেকে শিক্ষকতা করছেন বলে অনেক খবর প্রকাশিত হয়েছিল বিভিন্ন গনমাধ্যমে। এমন খবর প্রকাশ হবার পর সরকার ( Government ) নানা পদক্ষেপ গ্রহন করে। ফলে নিয়োগের প্রক্রিয়ায় আগের থেকে অনেক বেশি স্বচ্ছতা এসেছে। হবিগঞ্জের মাধবপুর ( Madhabpur )ে জাল সনদ দিয়ে শিক্ষকতা করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন স্নিগ্ধা রানী দাস। তিনি মাধবপুর ( Madhabpur ) উপজেলা এলাকার ছাতিয়ান বিশ্বনাথ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে ( Bishwanath High School College ) পড়াতেন এবং তার পড়ানোর বিষয় ছিল হিন্দু ধর্ম। জাল সনদ ধরার পর ১০ বছরে কর্মরত অবস্থায় যে সব বেতন ভাতা তিনি পেয়েছে তা সরকার ( Government )ী কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি প্রদান করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা বিভাগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সালের ( year ) ১ নভেম্বর ( November ) তিনি এমপিওভুক্ত হন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে আপত্তি উঠলে স্নিগ্ধা রানী দাসের ( Snigdha Rani Das ) নিবন্ধন সনদ তদন্তে বেরিয়ে আসে। কর্তৃপক্ষ এমপিওভুক্তির পর ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১০ লাখ ৬ হাজার ৮৮০ টাকা সরকার ( Government )ি কোষাগারে ফেরত পাওয়ার যোগ্য বলে মন্তব্য করেছে তদন্ত কমিটি।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুনুর রশীদ বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অডিট বিভাগের লোকজন জানতে পারে স্নিগ্ধার শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল। আপত্তির কারণে তাকে পড়াতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
ছাতিয়ান বিশ্বনাথ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ ( Harunur Rashid ) বলেন, টাকা ফেরতের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও অডিট বিভাগ থেকে চিঠি পেয়েছি। তাকে সরকার ( Government )ি কোষাগারে টাকা জমা দেওয়ার বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরো সতর্ক হতে হবে। শিক্ষক যদি নিজেই অপকর্মের সাথে জড়িত থাকে তাহলে ছাত্রছাত্রীদের কি শিক্ষা দিবেন। এ সকল অপকর্মের সাথে যারা জড়িত হয় তাদেরকে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত। যাতে সমাজে এমন ঘটনা পূনরায় আর কেউ ঘটাতে সাহস না করেন এটাই সর্বশ্রেনীর মানুষের দাবি।