বাংলাদেশের সব থেকে বড় দুই রাজনৈতিক দল হলো বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ প্রায় দেশ দশক ধরে রয়েছে ক্ষমতায়। বিএনপির অবস্থা ঠিক তার উল্টো। তারা প্রায় দুই দশক ধরে নেই ক্ষমতায়। আর এই কারনে দলের অবস্থায় বেশ ভঙ্গুর।
এ দিকে সম্প্রতি ‘১০ ডিসেম্বরের পর খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কথায় বাংলাদেশ চলবে’- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমানের বক্তব্য এখন দেশের রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সোমবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে শহীদ জেহা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান বলেন, ‘ ১০ ডিসেম্বর নয় যখন থেকে এই সরকার অবৈধভাবে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে তখন থেকে দেশের মানুষ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল চায়নি এই সরকার ক্ষমতায় থাকুক। জনগণ আর এক মুহূর্তও এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাদের দাবি অনুযায়ী আমরাও মাঠে নেমেছি।
আমান আরো বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষ অসহায়। এই অবৈধ সরকার দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তাই গণতান্ত্রিক আন্দোলন যত তাড়াতাড়ি এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে, তত তাড়াতাড়ি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে এবং জনগণ ভোট দিয়ে তাদের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের গেলো ৮ তারিখ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বক্তব্য দেয়ার সময়ে এমন বলেন,আগামী ১০ ডিসেম্বরের পরে বাংলাদেশ চলবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কথায়। এর বাইরে দেশ চলবে না কারও কথায়। এরপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে তার এই বক্তব্য নিয়ে শুরু হয় বেশ আলোচনা সমালোচনা। আর এই কারণেই তিনি নতুন করে তার এই বক্তব্ব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আজ।