বাংলাদেশ এর বিমান ব্যবস্থা নিয়ে একের পর ঘটছে নানা ধরনের সব দুর্ঘটনা। আর এই সব ঘটনা ঘটছে দেশের বিমান এবং বিমান বন্দরের অব্যবস্থাপনার কারনে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো দেশে বিমান নিয়ে ঘটে গেলো বড় ধরণের একটি দুর্ঘটনা।
গতকাল (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড্ডয়নের সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমানের চাকা ফেটে যায়। বিমানটিকে দ্রুত রানওয়ে থেকে ফিরিয়ে আনা হয় এবং যাত্রীদের নিরাপদে নামানো হয়।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ উদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমানের একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট (বিজি-৬০২) ১০০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। প্লেনটি যখন রানওয়েতে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল, উড্ডয়নের ১০০০ মিটারের মধ্যে চাকা ফেটে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বিমানটি ঘুরিয়ে দেওয়া হয় এবং যাত্রীদের নিরাপদে নামানো হয়।
এদিকে, ২৬ জানুয়ারি মাস্কাটের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া বিমানের একটি ফ্লাইট ঢাকায় জরুরি অবতরণ করে। বিমানের ফ্লাইট বিজি ১২১ ৪১০ জন যাত্রী নিয়ে ওই দিন চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওমানের মাস্কাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কিন্তু উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই মাঝ-হাওয়ায় ইঞ্জিনে সমস্যা থাকায় পাইলট ঢাকায় জরুরি অবতরণ করেন।
গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে অব্যবস্থাপনা, বোর্ডিং ব্রিজ না খুলে পার্কিংয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা, ফ্লাইটে ওভার পাওয়ার ব্যবহার করে ইঞ্জিন বিকল, উইন্ডশিল্ডে ফাটল, উড্ডয়নের সময় ইন্ডিকেটরে ত্রুটি সহ এমন অসংখ্য বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ঘটেছে বিমানে। কিন্তু এসব অব্যবস্থাপনা বা ত্রুটি রোধে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংস্থাটি। ফলে কিছুদিন পরপরই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বিমান।
প্রসঙ্গত, এ দিকে বাংলাদেশের প্রতিটা বিমান বন্দরের অবস্থাই এমন নাজুক। বিশেষ করে বিমান বন্দরগুলোর অব্যবস্থাপনা এবং কর্মকর্তাদের গা ছাড়া ভাবকেই দেয় করছেন অনেকেই এর কারন হিসেবে। সরকার থেকে বার বার এ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হলেও সব কিছুই যেন আটকে থাকছে কাগজে কলমে।