শিক্ষাখাতে প্রায় সময় নানা ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি ভারতের শিক্ষাখাতের একটি অনিয়মের ঘটনা উঠে এসেছে প্রকাশ্যে। দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার অব অ্যাডুকেশন কোর্সে ভর্তির জন্য দেওয়া ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় এক ছাত্র পেয়েছেন ১৯৬ এবং আরেক ছাত্রী পেয়েছেন ১৫১ নম্বর। এই ঘটনাকে ঘিরে চলছে ব্যপক আলোচনা-সমালোচনা।
ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার অব অ্যাডুকেশন কোর্সে ভর্তির জন্য অনলাইনে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। এই পরীক্ষায় মোট নম্বর ছিল ১০০। কিন্তু প্রকাশিত মেধাতালিকায় দেখা যায়, এক ছাত্র পেয়েছেন ১৯৬ এবং একজন ছাত্রী পেয়েছেন ১৫১ নম্বর। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এই মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। মেধাতালিকায় এ ধরনের ভুল দেখা গেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৪ সেপ্টেম্বর ওই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, এই মেধাতালিকা প্রকাশের পর তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা এই মেধাতালিকা পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন। খবর- জি নিউজ।
মেধাতালিকায় প্রকাশিত ৪৩ জনের মধ্যে দুজনের প্রাপ্ত নম্বরে এই বিভ্রাট দেখা যায়। সেখানে লেলিন শেখ পেয়েছেন ১৯৬ এবং ঋতিকা রানি পেয়েছেন ১৫১। তবে অন্যদের নম্বরে তেমন গরমিল দেখা যায়নি। এর আগে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। মাস্টার অব অ্যাডুকেশন কোর্সের প্রবেশিকা পরীক্ষার এই নম্বর বিভ্রাটও তারই অংশ কি না, সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন, জালিয়াতি করতে গিয়েই মেধাতালিকা এভাবে তৈরি করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র অনির্বাণ সরকার এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি।
অবশ্যে প্রায় সময় এমন অনেক অনিয়মের ঘটনা এর আগেও প্রকাশ্যে এসেছে। শুধু ভর্তি পরীক্ষাই নয় চাকরী পরীক্ষা এমনি বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষায়ও এমন ঘটনা ঘটেছে। সাধারন্ত ভাবে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঠিক দায়িত্ববোধের অভাবে এমন ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে। এমন ঘটনার জের ধরে দেশ জুড়ে ব্যপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হচ্ছে। এবং শিক্ষাখাত নানা ভাবে প্রশ্ন বৃদ্ধ হচ্ছে।