কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ( University Comilla ) বর্তমান ছাত্রলীগ কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে অনেকদিন আগে। যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে এই মে্যাদ শেষ হয়ে যাওয়া বর্তমান কমিটি। নতুন কমিটি গঠনের পুর্বেই বিতর্কে জরিয়ে পড়ছেন কমিটির সভাপতি-সাধারন সম্পাদকের পদের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থিরা। বর্তমান কুবির ( Kubir ) ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ১০০ কোটি ঘুষ দিলেও সভাপতি-সম্পাদকের পদ তোদের জন্য না এমন মন্তব্যেকে ঘিরে নানান সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক গনমাধ্যেমসহ রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বদের ভিতরে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ১০০ কোটি ঘুষ দিলেও সভাপতি-সম্পাদকের পদ তোদের জন্য না তার এমন মন্তব্যের পর প্রশ্ন উঠেছে ছাত্রলীগের কমিটিতে আসতে আর্থিক লেনদেন করতে হবে কি না। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলন স্থগিত হওয়ার খবর প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক গনমাধ্যেম গ্রুপের এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে তিনি এই পোস্ট দিয়েছেন। কুবি ছাত্রলীগের সভাপতির পদ অনুযায়ী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটিতে দুই-তিনজন সদস্য রয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র ও বিভিন্ন ফৌজদারি মামলা রয়েছে। দেখা যাক, এত অভিযোগে ১০০ কোটি ঘুষ দিলেও সভাপতি-সম্পাদকের পদ তোদের জন্য না সে বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করলাম।
ইলিয়াস হোসেন সবুজকে ছাত্রলীগের পদে আসতে আর্থিক লেনদেন করতে হয়েছে কি না, কার কাছে এমন মন্তব্য করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি দেশের একটি জনপ্রিয় গনমাধ্যেমকে বলেন, রেজা ( Reza ) (কুবি ছাত্রলীগের দ্বিতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক) কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছেন। কুমিল্লা দক্ষিণ, মহানগর আওয়ামী লীগের ( Metropolitan Awami League ) যত নেতা আছেন, তিনি মিডিয়াসহ সবাইকে টাকা দিচ্ছেন। ছাত্রলীগের কমিটির জন্য টাকা দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিটিতে আসার পরিবেশ তৈরি করতে খরচ করছেন। কুবি ছাত্রলীগের অনুমোদন পাওয়া ইলিয়াস-মাজেদ কমিটিকে এক বছরের জন্য পাঁচ বছরের জন্য রাখতে আর্থিক লেনদেনের প্রয়োজন আছে কি না জানতে চাইলে ইলিয়াস বলেন, যোগ্যতার কারণেই আমার কমিটি আসছে। আমার কমিটি মেধার ভিত্তিতে টিকে আছে।
কুবি ছাত্রলীগের দ্বিতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজা ( Reza )-ই-এলাহীর বিরুদ্ধে এমন আর্থিক লেনদেনের অভিযোগের বিরুদ্ধে তিনি বলেন যারা এসব বলেন তারাই ভালো জানেন, কোথায় কিভাবে আর্থিক লেনদেন করতে হয়। আমি কোথাও ছাত্রলীগের কমিটিতে আসার জন্য টাকা দেইনি। ফৌজদারি মামলা ও মা”দক সেবনের অভিযোগের বিষয়ে দেশের জনপ্রিয় গনমাধ্যেমকে রেজা ( Reza ) ( Reza media ) বলেন, এটা তার (ইলিয়াস) দেখার বিষয় নয়। তার জন্য প্রশাসন আছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ( Bangladesh Chhatra League ) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি তানজিমুল শিমুল ( Tanjimul Shimul ) বলেন, ছাত্রলীগের কমিটিতে আসতে আর্থিক লেনদেনের প্রশ্নই আসে না। ইলিয়াস যা বলেছেন তা তার ব্যক্তিগত মতামত। তার কথায় কিছু হবে না। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি হবে স্বচ্ছভাবে। তিনি আরও বলেন, কুবীর কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। যে কোন সময় ভেঙ্গে যাবে। দীর্ঘদিন ধরে কমিটি আছে বলেই হয়তো তিনি এ কথা বলছেন। তার মন্তব্যের প্রমাণ পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ইলিয়াস হোসেন সবুজ প্রায় পনেরো বছর ধরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজত্ব কায়েম করেছেন। বিএনপি সরকারের ( BNP government ) আমলে দাপুটে বিএনপির ( BNP ) ছাত্রনেতা ছিলেন ইলিয়াস হোসেন। ( Elias Hossain. ) আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে রাতারাতি মত বদল করেন ছাত্রদলের দাপুটা নেতা ইলিয়াস। অ”স্ত্র মামলা ও সন্ত্রা”সী কর্মকাণ্ডের কারণে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত হলেও এখন তিনি এখন সেই কুবি ছাত্রলীগের সভাপতি। কুবির ( Kubir ) প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষাবর্ষে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের লোকপ্রশাসন বিভাগে ভর্তি হওয়া এই ছাত্রনেতার এখনো ছাত্রজীবন শেষ হয়নি বলে জানা গেছে সামাজিক গনমাধ্যেমের তথ্যের ভিত্তিতে।