দেশ জুড়ে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা-সমালোচনার শীর্ষে রয়েছে অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। প্রতিষ্ঠানটি স্বল্প সময়ে দেশ জুতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে এসেছে। তবে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই সকল অভিযোগের ভিত্তিতে এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত বেশ কিছু তারকারাও বিপাকে পড়েছে। এই প্রসঙ্গে কিছু কথা জানালেন শবনম ফারিয়া।
ইভ্যালির কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে করা মামলায় যে কোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান, অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয়জন। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পু/লি/শে/র (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান। এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক তাদের নামে মামলা করেন। এ নিয়ে ইভ্যালির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ফারিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, আমাকে হয়/রা/নি করার জন্যই এ মামলা করা হয়েছে। কেন হয়রানি, কী জন্য হয়রানি সেটা তো আমি জানি না। আর থানা পুলিশ বলেছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে আমার সম্পৃক্ততা আছে কি না। আমি শিউর, উনারা আমার সম্পৃক্ততা পাবেন না।
তিনি বলেন, আমাকে যে কয়েকটা কারণে অপরাধী দেখানো হয়েছে সেগুলোর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আর আমি এখনো ইভ্যালি থেকে এক টাকাও পাইনি। যে অভিযোগগুলো করেছে সেগুলোর সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। প্রমোশন করলে আমি সেটার জন্য অনেক টাকা নেই। তাদের কাছ থেকে বেতনের টাকা নিয়ে আমি প্রমোশন করবো না বলে চাকরি নেওয়ার আগেই জানিয়েছি। এ মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সংগীতশিল্পী তাহসান খান, অভিনেত্রী মিথিলা। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়া ইভ্যালির বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। তাদের উপস্থিতি এবং তাদের বিভিন্ন প্রমোশনাল কথাবার্তার কারণে আস্থা রেখে বিনিয়োগ করেন সাদ স্যাম রহমান। এসব তারকার কারণে মামলার বাদী প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
ইতিমধ্যে নানা অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির এমডি এবং মহাব্যবস্থাপক কারাগারে বন্দি রয়েছে। এমনকি অর্ন্তবর্তীকালীন ভাবে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিচালনায় উচ্চ আদালত ৫ সদস্যের একটি কমিটি গ ঠন করে দিয়েছে। নতুন কমিটি উচ্চ আদালতের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে।