দেশের অনেক এলাকার আবাসিক হোটেলগুলোতে মাঝে মাঝেই অসামাজিক কর্মকান্ড ঘটার খবর গণমাধ্যমে উঠে আসে। এই সকল অসামাজিক কর্মকান্ড রোধকল্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে থাকে। এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানা এলাকার একটি হোটেলে পুলিশের অভিযানে ১০ জনকে আটক এরপর তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত।
তাদের মধ্যে ছয়জন নারী। তাদের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের পৃথক অভিযানে এক নিষিদ্ধ দ্রব্যের ব্যবসায়ীকেও সাজা দেওয়া হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে উপজেলার কুটি চৌমুহনী এলাকার একটি হোটেল থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়। কসবা থানা পুলিশ ও নিষিদ্ধ দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নেতৃত্বে ‘হোটেল শ্রমিক ভাই ভাই’- এ অভিযান চালানো হয়। পরে কসবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীব সরকার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এ সময় নুরুজাহান, শান্তা আক্তার, জেসমিন আক্তার, নাজমা বেগম, মাহিনুর আক্তারকে ৭ দিন, কলি আক্তার, এনামুল হককে ১০ দিন, আরিফুর রহমান, রাসেল মিয়া ও আলী হোসেনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অন্যদিকে কুটিবাজারে অভিযান চালিয়ে মো. হানিফ মিয়াকে নিষিদ্ধ দ্রব্য সেবনের অপ”রাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদ’ণ্ড দেন। হোটেলটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের আবাসিক হোটেলগুলোতে এই ধরনের অপকর্ম ঘটে থাকে হার হামেশাই, যেটা রোধের সরকারের কড়া নজর দেওয়া উচিৎ, এমনটাই মনে করেন বিশিষ্টজনেরা। তবে শুধু সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নয়, হোটেল মালিক বা কর্তৃপক্ষের উচিত এ ধরনের কর্মকাণ্ড যাতে হোটেলগুলোতে না ঘটে সেদিকে সচেষ্ট হওয়া।