অনেক আবাসিক হোটেলে নারীদের দিয়ে খারাপ কাজ করার ঘটনা প্রায় গণমাধ্যমে উঠে আসে। শুধু সেটা নয় অনেক সময় নারী এবং পুরুষ সমঝোতার মাধ্যমে এ সকল আবাসিক হোটেলে উঠে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লি’প্ত হয় এই ধরনের অপরাধ রোধকল্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রায় হোটেল গুলোতে অভিযান পরিচালনা করে থাকে এবার এ রকম একটি ঘটনা এক নারী নেতার কাণ্ড অপরাধীদের ধরতে সক্ষম হলো পুলিশ
আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ায় এক নারীকে শ্বাসরোধ করে অপরাধীরা তার নিথর দেহ ড্রামে ভরে হোটেলের স্টোর রুমে রেখে পালিয়ে যায়।
২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল এই প্রাননাশ কাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও পাঁচ বছর তদন্তের পর মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এছাড়া অপরাধ কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার পালোহাটি গ্রামের মো. জিয়াউর রহমান ওরফে সুমন (৪৫), একই জেলার ত্রিশাল থানার আমিরবাড়ি গ্রামের মো. কামরুল হাসান সবুজ (৩৮), মুন্সীগঞ্জের টংগীবাড়ী থানার রাউৎভোগ গ্রামের মো. আমিুর হোসেন ফকির। পৃথক এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
এ প্রসঙ্গে গাজীপুরের পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মকছুদার রহমান বলেন, গাজীপুর সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকার বৈশাখী আবাসিক হোটেলে নারীদের অনৈতিক কাজের জন্য নিয়ে আসা হয় এবং কর্মচারীরা আসা ঐ নারীদের সঙ্গে জোর করে অনৈতিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করতো। ঘটনার দিন ওই নারীর সঙ্গে জোর করে খারাপ কাজ করতে বাধ্য করতে গিয়ে অজ্ঞাতপরিচয় (২৫) ব্যাক্তির সাথে বাকবি’তণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে নিথর করা হয়।
পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা অজ্ঞাত নারীর প্রাননাশের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
তবে এ ঘটনায় যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদের আজ (বুধবার) গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে, এবং আদালতে তারা ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। তবে ৫ বছর পার হওয়ার পরেও নিথর করে দেয়া ওই নারীর পরিচয় এখনও অজ্ঞাত রয়েছে। তবে ওই নারীর পরিচয় বের করার জন্য পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান।