আম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারের এক নারী পর্যটকের সাথে খারাপ কাজের ঘটনায় দেশ জুড়ে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার পর ফের আরেকটি ঘটনা ঘটে এক কিশোরীর সাথে। পর পর এই দুই ঘটনার পর কক্সবাজারে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে এই ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনার বিরুদ্ধে। দেশের এই প্রধানতম পর্যটন স্থানের হোটেলগুলোতে হরদম অনৈতিক কর্মকান্ড ঘটে থাকে এমন তথ্য পাওয়ার পর অভিযান শুরু করেছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এবার শহরের লালদীঘিপাড় এলাকায় হোটেল পাঁচতারা ও আহসান বোর্ডিং নামের দুটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ২১ জন নারী-পুরুষকে আটক করেছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। এ সময় নিষিদ্ধ দ্রব্য সেবনের সরঞ্জাম ও শারীরিক উ’ত্তে/জক মেডিসিন এবং ২ বস্তা ক’নডম উদ্ধার করা হয়। হোটেলটিতে খারাপ কাজ সংগঠিত হওয়ার সময় হাজির হন তারা।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, লালদিঘীর পাড় এলাকার মৃত সৈয়দ নূরের ছেলে রমজান আলী সিকদারের মালিকানাধীন হোটেল পাঁচতারা ও প্রয়াত আহসান উল্লাহর ছেলে শহর আলীর মালিকানাধীন আহসান বোর্ডিংয়ে নিয়মিত অসামাজিক কার্যকলাপ চলে। অফিস- আদালতে আসা সাধারণ মানুষ এ বিষয়ে অস্বস্তিবোধ করে এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে চলাফেরায়ও পড়তে হয় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। সাধারণ মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (অপারেশন) ইন্সপেক্টর সেলিম উদ্দিন জানান, শহরের লালদীঘি পাড়ের হোটেলগুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপে চলছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালিত হয়। হোটেল পাঁচতারা ও আহসান বোর্ডিংয়ে অভিযান চালিয়ে ১৪ পুরুষ ও ৭ নারীকে আটক করা হয়েছে। যাচাই বাছাই করে ধৃতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এদিকে কক্সবাজারের অনাকাংখিত ঘটনার পর সেখানে নারী পর্যটকদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়ে বিশেষ জোনের উদ্বোধন করেছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক। দেশের অন্যতম এই পর্যটন কেন্দ্রে ঐ নারী পর্যটকের সাথে গর্হিত কাজ হওয়ার পর যাতে পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সেই জণ্য কাজ করে যাচ্ছে প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে সেখানকার হোটেল ও মোটেলগুলোতে অভিযান শুরু করেছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।