বর্তমান সময়ে একটি বিষয় দেশে দেখা যাচ্ছে, আর সেটা হচ্ছে শখের বসে বিয়ের পর বর নতুন বউকে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ ধরনের খবর সংবাদমাধ্যমে প্রায় দেখা যাচ্ছে। এবার তেমনই ঘটনা ঘটলো নেত্রকোনায়। নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের অফিসে চতুর্থ শ্রেনির কর্মী হিসেবে তিনি চাকরি করেন। শখের বশে তিনি তার নব স্ত্রীকে হেলিকপ্টরে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
নবদম্পতি হেলিকপ্টারে এসে একটি হোন্ডায় চড়ে বাড়িতে পৌঁছান। কুড়িগ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে স্ত্রীকে নিয়ে এসেছেন নেত্রকোনার ছেলে অপু। গতকাল বিকেলে নেত্রকোনা জেলার মোক্তাপাড়া মাঠে নামেন নবদম্পতি অপু-সনিতা। অপু বাসফোড় নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালের ডোম দিলীপ বাসফোড়ের ছোট ছেলে। তিনি নিজে জেলা প্রশাসন অফিসে চাকরি করেন। বেলা ৩টায় স্ত্রীকে হেলিকপ্টারে করে নামানোর দৃশ্য দেখতে আত্মীয়-স্বজন ও উৎসুক লোকজন জড়ো হন।
তারা মাঠের চারপাশে দাঁড়িয়ে দুপুরের পর থেকে জীবনে প্রথমবারের মতো আকাশে ওড়ার দৃশ্য দেখার জন্য অপেক্ষা করেন। বউকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি নিয়ে যান বর। যারা এটি দেখতে এসেছেন তাদের জন্য এটি একটি বিরল দৃশ্য। অনেকেই আগ্রহী ভবিষ্যতে তারাও বিয়ের পর কনেকে এভাবে উড়িয়ে নিয়ে আসবেন।
এদিকে সকাল থেকে অপু বাসফোড়ের মা শ্যামলী বাসফোড়সহ প্রতিবেশীরা মাঠে অপেক্ষায় ছিলেন। শ্যামলীসহ স্বজনরা জানান, ছেলের বউকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে আসা অপুর বাবার খুব শখ ছিল। আর এই শখ পূরণ করতেই স্ত্রীকে আকাশ পথে নিয়ে আসেন ছেলে। এ সময় নেত্রকোনার পুলিশ প্রশাসনও হেলিকপ্টার অবতরণে সহায়তা করে।
জানা গেছে, জানা গেছে, নেত্রকোনার জয়নগর হাসপাতাল কোয়ার্টার থেকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় বরযাত্রা যায় বাসে চড়ে। রাত সাড়ে ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত কুড়িগ্রাম সদরের কনের পিত্রালয় পাওয়ার হাউজে বিয়ে সম্পন্ন হয়। এরপর কুড়িগ্রাম স্টেডিয়াম মাঠ থেকে গতকাল বিকেলে হেলিকপ্টারযোগে স্ত্রীকে নিয়ে নেত্রকোনা সদরে ফেরেন বর।
অন্য যাত্রীরা বাসে করে ফিরে আসে। অপু বাসফোড়ের বড় ভাই দীপু বসফোড় বাবার কাজ বেছে নিয়েছেন। অপু বাসফোড় কিছুদিন বড় ভাইয়ের সঙ্গে বাবার কাজ করলেও এখন জেলা প্রশাসকের অফিসে চাকরি পেয়েছেন। এছাড়া তিনি পাঠশালা ব্যান্ডের সাথে প্যাড বাজান।
এই ঘটনার পর এলাকায় চঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া বিষয়টি স্থানীয়রা বেশ উপভোগ করেছেন। তবে এই ঘটনার পর সেখানে অনেকে ভিন্ন কথাও বলেছেন। তবে বাবার শখ পুরন করার জন্য অপু তার স্ত্রীকে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে নিয়ে এসেছেন।