হেলমেট না পরে মোটরসাইকেল চালিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের কাজ থেকে ফিরছিলেন বিদ্যুতে কর্মরত একজন কর্মচারী। কিন্তু বিপত্তি বাধে হেলমেট না থাকায়, পুলিশ তাকে জরিমানা করেন। আর এতেই রাগান্বিত হয়ে ওই বিদ্যুৎ শ্রমিক থানার হাজার হাজার বিদ্যুত বিল বকেয়া রয়েছে এমন অভিযোগ তুলে সংশ্লিষ্ট থানার বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেন। যার কারণে সমগ্র থানায় অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়।
বুধবার (২৪ আগস্ট) একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ কেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করলো তা স্পষ্ট নয়, যদিও আইন অনুযায়ী হেলমেট না পরলে ২ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভা”ইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিদ্যুৎ বিভাগের লাইনম্যান ওই মোটরসাইকেল চালক একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে উঠছেন। পরে তিনি শামলী থানার মূল ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এর ফলে সমগ্র থানা জুড়ে অন্ধকার নেমে আসে, যাতে বিপাকে পড়ে ঐ থানার সমস্ত পুলিশ সদস্যরা।
থানায় হাজার হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে বলে দাবি করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে লাইনম্যান মেহতাব জানান, মোটরসাইকেলে করে কাজ থেকে ফেরার পথে হেলমেট না পড়ায় ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য তাকে থামায়। তিনি পুলিশকে অঙ্গীকারও দিয়েছিলেন যে তিনি দ্বিতীয়বার এমন অপরাধ করবেন না।
তখন কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য তার কথা শুনে বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ যে কোনো পরিস্থিতিতে দাম বাড়িয়ে জনগণকে ছিনতাই করছে। তিনি মেহতাবকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন। যদিও বিদ্যুৎ বিভাগের এই কর্মচারীর মাসিক বেতন মাত্র ৫ হাজার টাকা।
মেহতাব দাবি জানিয়ে বলেন, আমাকে যে সময় ধরেছিল সেই সময় আরো অনেকেই হেলমেট ছাড়া ওই রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের তিনি কিছু বলেননি। আমার বেতন মাত্র পাঁচ হাজার টাকা সেখানে আমাকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে, আমি জানিনা এত টাকা কিভাবে জরিমানা দিব। আর তারা বিদ্যুৎ বিল না দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছিল, নিয়মমাফিক তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।