মানিকগঞ্জ-০২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম স্বার্থপর মানুষদের নির্দেশনা চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১০টার দিকে তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, যারা কখনো আমার অর্জন ও সুনাম ঠেকাতে পারেনি, আমি তাদের সমর্থন ও সম্মান করছি, কিন্তু তারা আমাকে টেনে নামানোর সুযোগ নিচ্ছে। আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুন।
মুহূর্তের মধ্যে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় স্ট্যাটাস। মমতাজ বেগমের মর্যাদা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।
কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে দুইবারের সংসদ সদস্য এবং একবার সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে সংসদ সদস্য ছিলেন। সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান। কিন্তু নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া শিল্পপতি দেওয়ান জাহিদ টুলুর কাছে পরাজিত হন এই গায়ক।
নির্বাচনের এক সপ্তাহ পর কিছু স্বার্থপর লোক মিথ্যা অভিযোগ ও নির্যাতন সহ্য করে নিজেদের সুনাম ও সুনামকে কলঙ্কিত করার জন্য যে স্ট্যাটাস দিয়েছে তা এখানে সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরা হলো-
আপনার নিজের খ্যাতি মাঝে মাঝে গলায় কাঁটার মতো লাগে। আমার সুনাম হারাবার ভয়ে মুখ ঢেকে কত অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। আমি যা কিছু অর্জন করেছি সবই আমার কঠোর পরিশ্রমের ফল। বাবা-মা পীর মুর্শিদেরও দোয়া আছে।
এই অর্জনের পেছনে সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি না থাকলেও আজ কিছু মানুষ তা ধ্বংস করতে এগিয়ে এসেছে। যারা আমার সুনাম, খ্যাতি, কৃতিত্ব, মঙ্গল কোনোভাবেই সহ্য করতে পারেনি, তারপরও আমি তাদের সাধ্যমতো শ্রদ্ধা ও সহযোগিতা করে আসছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি! সুযোগ নিয়ে আমাকে টেনে নিয়ে যায়। মুশকিল হলো আমি যা নই, যা করিনি তা শুধু কিছু টাকার স্বার্থের বিনিময়ে আমাকে অপবাদ দিচ্ছে। আমি জানি সত্য একদিন এদেশের মানুষ জানতে পারবে এটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। আল্লাহ এই স্বার্থপরদের হেদায়েত দান করুন।
মমতাজ বেগমের স্ট্যাটাস সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথে তার শুভাকাঙ্ক্ষী এবং ভক্তরা সহানুভূতি এবং ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, স্বতন্ত্র প্রার্থী সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শিল্প দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে ৬ হাজার ১৭১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু ট্রাক প্রতীকে ৮৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আর মমতাজ বেগম নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮২ হাজার ১৩৮ ভোট।