দুই বছর মেয়াদে জাতীয় সরকার গঠন করা এখন খুব প্রয়োজন এমন ধরনের প্রস্তাব দিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী যিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি। তিনি বলেন, এই দুই বছর সময়ের মধ্যে দেশের যে ১০ কোটি দরিদ্র মানুষ রয়েছে তাদের ভাগ্য ফেরানোর জন্য সাশ্রয়ীমূল্যে খাদ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব। এটা অনেক সময় দেশের দরিদ্র মানুষের অভাব লাঘবের জন্য।
শুক্রবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র মিলনায়তনে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় ও জেলা প্রতিনিধিদের এক সংবাদ সম্মেলনে জাফরুল্লাহ এ আহ্বান জানান। আজ (শনিবার) দুপুরের দিকে মজিবুর রহমান মঞ্জু যিনি এবি পার্টির সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন তিনি গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান।
জাফরুল্লাহ বলেন, গণতন্ত্র ও ভোট আজ এক অজানা শব্দে পরিণত হয়েছে, দেশের মানুষের ভোটাধিকার জোর করে হরণ করা হয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ভ’য়ের কিছু নেই। বিজয় আমাদের হবেই, ইনশাআল্লাহ। এবি পার্টির নেতাকর্মীদের দেখে আজ আমি উজ্জীবিত হয়েছি, সাহস পেয়েছি। আপনারা তরুণ, আপনাদেরকেই এই দেশ গঠনে, অধিকার প্রতিষ্ঠায় আ’/ন্দো’লন করতে হবে, আমি বয়স্ক হলেও প্রয়োজনে হুইল চেয়ার নিয়ে আমি সামনে থাকব। কিন্তু মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেই ছাড়ব।
এবি পার্টির প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যুক্ত হয়ে তার বক্তব্যে বলেন, আমরা একটি মহান উদ্যোগ নিয়েছি। বাংলাদেশের মানুষ র’/ক্ত দিয়েছে, শাহাদতবরণ করেছে। কিন্তু কোনো সুফল পায়নি। অধিকার প্রতিষ্ঠা করে সেই সব জনগণের মুখে হাসি ফোটাব আমরা। এটি একটি কঠিন কাজ। পদলো’ভী, স্বার্থলো’ভী মানুষ এই কাজের অংশ হতে সক্ষম হবে না। তারা আসবে যাবে কিন্তু ত্যাগীরাই সফল হবে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মাঝে মাঝে সরকারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সমালোচনা করেন এবং মাঝে মাঝে সরকারকে পরামর্শমূলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন। তবে একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে অন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মতো ঢালাও সমালোচনা করেন না তিনি। তবে তার মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে কোনো রাজনৈতিক দলকে সমালোচনা করতে দেখা যায় না। তিনি গনমানুষের অধিকার বিষয়ে কথা বলে থাকেন।