ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ইনজুরিগুলো মাশরাফি বিন মুর্তজার নামের সমার্থক বলা চলে। মাশরাফিকে ২২ গজের জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য নিজের সাথে লড়াই করতে হয়েছিল, যা একটি মহাকাব্যিক সমাপ্তিও হতে পারে না। ৪০ বছর বয়সী এই বাংলাদেশি পেসার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও ঘরোয়া এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলছেন। আর সেখানেই চলছে তার লড়াই। এখন আবার তাকে অপারেশনের প্রস্তুতি নিতে হবে।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এই ম্যাচে মাশরাফির দল সিলেট ৫২ রানে হেরেছে। ম্যাচ শেষে নানা বিষয়ে কথা বলেন তিনি। এ সময় অপারেশনের কথা জানান তিনি।
মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, কথা বলা নির্ভর করে ব্যথার ওপরে। আমি আগেই বলেছি, আমার একটি ছোট অপারেশন দরকার। বড় অপারেশন নয়।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর পর্যন্ত আমার পায়ে এমন কোনো সমস্যা হয়নি। চার মাস আগে দুর্ভাগ্যবশত পায়ে ব্যথা অনুভব করেন। আমি জানি না কেন কোনো রহস্য খুঁজে পাচ্ছি না। দৌড়াতে গিয়ে ব্যথা পেলাম বা কোথাও ব্যথা পেলাম, এমন নয়।
ব্যথা নিয়ে মাশরাফি বলেন, “হঠাৎ পায়ে ব্যথা অনুভব করার পর ডাক্তার দেখিয়েছিলেন। পরে ছোট অপারেশনের কথা বলেন। এটা দুর্ভাগ্যজনকভাবে হয়েছে। কিছু চাহিদা আছে। সেজন্যই খেলা চালিয়ে যাচ্ছি।
খেলা নিয়ে তিনি আরও বলেন, আমি আগের ম্যাচে বলেছিলাম খেলার জন্য খুব একটা আদর্শ অবস্থায় নেই। আমাদের দলের একটা ব্যাপার আছে, সেটা প্রকাশ করা যাবে না। প্রথম দুই ম্যাচ খেলতে হয়েছিল। দুদিন বিশ্রাম নেওয়ায় আজ হয়তো একটু ভালো ছিল। মূলত, আহত খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে আমাদের এই ‘স্টপ অ্যান্ড বোলিং’ নিয়েই এগোতে হবে।
এর আগেও খেলা নিয়ে নিজের অবস্থান জানিয়েছিলেন মাশরাফি। এদিন তিনি আরও একবার এ বিষয়ে কথা বলেছেন। মাশরাফি বলেন, “আমিও এটা মেনে নিয়েছি। আদর্শভাবে এই পরিস্থিতিতে… যেহেতু আমি বোলিং করতে পারি না, তাই না খেলাই ভালো। তবে সবকিছুর একটা বিষয় আছে, যা হয়তো আমি বিস্তারিত বলতে পারিনি। কিন্তু যেহেতু আজ আবার খেললাম আমি চেষ্টা করেছি।আমি ভালো লাগলে বল করব, আমি বোলিং করার চেষ্টা করেছি।
এখন পর্যন্ত মাশরাফির দুই হাঁটুতে সাতবারের বেশি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এবং সব মিলিয়ে তাকে দ্বিগুণেরও বেশি ছুরির নীচে যেতে হয়েছিল। তবে খেলা ছাড়তে পারেননি এই তারকা। এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা না গেলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ও ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলছেন তিনি। বিপিএলের নবম আসরে সিলেটকে প্রথমবারের মতো ফাইনালে নিয়ে যান তিনি। তাই এবারও তার কাঁধে দায়িত্ব দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি।