চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামছুল হক চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার ঘটনায় লিটন বড়ুয়াসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) ভোরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তবে গ্রেফতারকৃতদের বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মো: আরিফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে জানান, হামলার ঘটনায় গতকাল (শনিবার) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এখনো মামলা হয়নি। মামলার পর তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
এর আগে শনিবার নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হুইপের বহরে দুটি হামলার অভিযোগ ওঠে। শনিবার উপজেলার শান্তিরহাট ও কুসুমপুরা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রামে হুইপের ভাই গ্রেফতার, হামলায় তার বোনও আহত হয়েছেন
জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে হুইপ সামছুল হক চৌধুরী উপজেলার শান্তিরহাট এলাকায় প্রচারণা শুরু করেন। দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে তাদের কনভয় থামিয়ে দেয় তারা। এরপর কাফেলার দিকে জুতা নিক্ষেপ করা হয়। ঘটনার সময় হুইপের ভাই গাড়ি থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করেন। এরপর তাকে বেঁধে কান ধরে বসতে বাধ্য করা হয়। পরে পটিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হুইপ বহরটিকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনার পর বিকেলে নির্বাচনী গণসংযোগে উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নে যান হুইপ। বিকেল ৫টার দিকে ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে তাদের বহরে দিনের দ্বিতীয় হামলা হয়। এ সময় হুইপের বোন সুলতানা ইয়াসমিন রেখা (৪২)সহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এদের মধ্যে মনির হোসেন (৪৩) ও আহত রেখা, মো: রাসেল (৩৩) ও মো: কাসেম (৩৫)সহ চারজনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম-১২ আসন থেকে ঈগল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হুইপ সামশুল। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন। তবে এবার তিনি নৌকা প্রতীক না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করছেন।
এ আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর অনুসারীরা এসব হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার সমর্থকরা। নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তবে মোতাহেরুলের অনুসারীরা হামলার কথা অস্বীকার করেছে।