সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের স্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের স্বীকৃতির কথা বলে সকলকে বোকা বানিয়ে চাঁদের জমির মালিক দাবি করে চলেছেন ডেনিস। তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে তিনি প্রচার করে চলেছেন যে, মার্কিন সরকার তাকে গ্যালাক্সির অনুমোদন প্রদান করেছে। কিন্তু হিলারি প্রদত্ত সনদে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এসবের জন্য দায়-দায়িত্বে নয়।
ডেনিস এম হোপ, চর’ম পর্যায়ের একজন প্রতারক। সূর্য ও পৃথিবী ব্যাতীত চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহসহ সকল গ্রহ-উপগ্রহের মালিক তিনি বলে দাবি করেছেন, যে বিষয়টি নিয়ে সমগ্র বিশ্বে ব্যপকভাবে সাড়া পড়েছে। চটকদার বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমে এই ব্যক্তি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
এক বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, ছোট্ট এক শি’/শু চাঁদ দেখিয়ে বাবা-মা’র মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছে। বাবা-মা শি’/শুটিকে চাঁদ উপহার দেওয়ার কথা জানালে শি’/শুটি অবা’ক হয়ে তাকিয়ে থাকে।
মানুষকে লো’ভ/নীয় ফাঁ’দে ফেলতে হোপ সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের একটি সনদও প্রদর্শন করেছেন, যেখানে মার্কিন সরকার তার গ্যালাকটিক বা ছায়াপথের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে। কিন্তু বাস্তবে তার ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ওয়াশিংটন ডিসির লাইব্রেরি অব কংগ্রেস কপিরাইট অফিসে অনুমোদনের জন্য একটি সিল জমা দেওয়া হয়। যেটি ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর ওই দপ্তরে নথিভুক্ত হয়। ওই কপি ৯ ডিসেম্বর ইউনাইটেড স্টেট অব আমেরিকার তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি রডহাম ক্লিনটনের কাছে যায়। সেই সার্টিফিকেটে সিলের বিষয়টি উল্লেখ করলেও হিলারি নিচের অংশে তারকা চিহ্নিত করে লেখেন, এর দায় দায়িত্ব তার অফিসের নয়। অর্থাৎ একটি সিল দেখিয়েই ডেনিস এম হোপ মানুষকে ধোঁ’কা দিচ্ছেন।
মানুষের শখের কোনো অন্ত নেই। আর সেখানে চাঁদে জমি বিক্রি হচ্ছে এ খবর শোনার পর বেশ মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হলেও এক টুকরো জমি কিনতে চাইবে একটু ধনবান লোকেরা। শেষ পর্যন্ত যখন তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন সেই সময়ই সচেতন হন। এই ধরনের ভিন্ন ধরনের ফাঁদ হতে সকলকে সত’র্ক থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।