বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যতম আলোচিত এক নাম আশরাফুল আলম সাঈদ ওরফে হিরো আলম। ব্যক্তিগতসহ নানানা সব কাণ্ড ঘটিয়ে আলোচনায় আসা যেন তার জীবনেরই একটি অংশ বিশেষ। এদিকে গত কয়েকদিন আগে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তবে জয়ী হতে না পারলেও রীতিমতো এক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন এই হিরো আলম।
তবে হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, জাতীয় সংসদকে খাটো করতে বগুড়ায় উপনির্বাচনে হিরো আলমকে প্রার্থী করেছিল বিএনপি।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে এক শান্তি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। কামরাঙ্গীরচরে এই শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হিরো আলমের প্রতি ফখরুলের এত ভালোবাসা। সংসদকে খাটো করতে হিরো আলমকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন ফখরুলের। ‘
বিএনপিকে ক্ষমতা দেওয়া মানে আলো থেকে অন্ধকারে যাওয়া। আমরা বিএনপিকে কোনো পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছি না। তারা নয়াপল্টনে কর্মসূচি করছে, আমরা কামরাঙ্গীরচরে করছি। উল্টোটা হলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে করতাম,” বলেন ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আমাদের প্রতিদিনই কোনো না কোনো কর্মসূচি থাকবে।
বিএনপির পদযাত্রা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের পতন শুরু হয়েছে। জনগণ বিএনপির মিথ্যা দাবির সঙ্গে নেই। তাদের কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীরাও কমছে। ‘
আন্দোলনের রঙিন স্বপ্ন দেখতে পারেন। কিন্তু এ স্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না।’ বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিএনপি গণবিপ্লবের কথা বলে, কিন্তু গণআন্দোলন করতে পারেনি। কবে হবে গণজাগরণ? কোন বছর? এখন বলে আগামী নির্বাচনের পর। ‘
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খেলা তো হবেই, কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী কোথায়? প্রতিপক্ষ নরম হয়ে গেছে। পরাজিত হয়েছে আন্দোলনের খেলা। এখন নির্বাচন বাকি। নির্বাচনে ফাইনাল খেলা হবে। আমরা দুর্বল প্রতিপক্ষ চাই না, শক্তিশালী প্রতিপক্ষ চাই। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। ‘
মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে কাদের বলেন, পাকিস্তান আমল ভালো ছিল, ফখরুল সাহেব বলেছেন। কিন্তু পাকিস্তানের এখন কী অবস্থা? বাংলাদেশের কাছে ৬ মাসের আমদানির সমান রিজার্ভ আছে, পাকিস্তানের কাছে ৩ সপ্তাহের আমদানির সমান রিজার্ভ নেই। পাকিস্তান এখন আইএমএফের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। আপনি সেই পাকিস্তান পছন্দ করেন। ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ হবে পাকিস্তানের মতো। আমরা সেটা হতে দেব না। ‘
তিনি বলেন, ‘মানুষ অসন্তুষ্ট, এভাবে কাজ করলে দল ও সরকারের ক্ষতি হবে। যারা জমি দখল, ‘মা”দক’ ব্যবসা, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির সাথে জড়িত; আওয়ামী লীগ গঠনের অধিকার তাদের নেই। খারাপ লোকদের সাথে পার্টি করার দরকার নেই। ভালো মানুষ, পদ’ত্যা’গকারীদের নিয়ে কমিটি করুন। বসন্তের কোকিলদের খারাপ সময়ে পাওয়া যাবে না। ’। ‘
পণ্যের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে আমাদের বেশি দামে পণ্য কিনে কম দামে সরবরাহ করতে হচ্ছে। তেলের দাম, ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা।” এই পরিস্থিতিতে আপনি কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। নেত্রী ভালো জানেন। আমরা পরিস্থিতি অস্বীকার করছি না। শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করছেন, যাতে আপনার কষ্টের অবসান হয়। ‘
বর্তমান সময়ে যেভাবে দিনের পর দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েই চলেছে, তাতে করে আগামীতে সাধারণ মানুষকে আরো সমস্যায় পড়তে হবে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।