বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে একটি আলোচিত নাম আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। তিনি বিনোদন জগতে একজন হাস্যরসাত্মক ব্যক্তি হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছিলেন। তাছাড়া তার গাওয়া গান নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। সেই হিরো আলম রাজনীতিতে পদার্পণ করে মানুষকে দেখিয়ে দিয়েছেন, গড গিফটেড বিষয়গুলো অনেক সময় না থাকলেও পরিশ্রমের বলে মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়া যায়। তার বিষয়ে এবার রাজনীতিবিদ ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন। তার সেই পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-
পরিসংখ্যান বলছে, তাকে দেখে হাহা রিএক্টের সংখ্যা দ্রুত কমে আসছে। দ্রুত কমে আসছে তুচ্ছতাচ্ছিল্য- উপহাস করা কমেন্টের সংখ্যাও ! সে এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা মেনে নিচ্ছি! মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছি, কেননা সে অযোগ্যতার উপর ভর করে যোগ্য হয়ে উঠছে, সে শূন্যের উপর দাড়িয়ে অসংখ্য সংখ্যা লিখছে।
অদূর ভবিষ্যতে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে মোটিভেশান স্পিকার হিসেবে সে দাড়িয়ে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে যদি বলে বসে, “হিরো আলম পারলে, আপনিও পারবেন!” শুনে অবাক হবেন?
বিরুদ্ধ তুফান স্রোতে সাঁতরে কিভাবে নিজের স্বপ্নজয়ের পথে অক্লান্তভাবে ছুটতে হয় তা তিনি দেখাচ্ছেন, শেখাচ্ছেন!
আপনার একটি পোস্টে একটি বিরূপ কমেন্ট নিয়ে তর্ক বিতর্ক হলে সারাদিন আপনার শরীর রাগে গিজগিজ করে, আপনি একটি কাজে দু-তিনবার ফেল মারলেই হতাশা চলে আসে, আপনাকে নিয়ে আশপাশের কেউ কটুক্তি করলেই বিরক্তি আসে, থেমে যেতে ইচ্ছে করে। সেখানে এই মানুষটা কি করছে? আগুন নাহ? জাস্ট আগুন নাহ?
সব পু”ড়িয়ে দিচ্ছে!
তার প্রচেষ্টাকে আপনার সম্মান জানাতেই হবে, আজ না হয় পরশু, স্বইচ্ছায় অথবা বাধ্য হয়ে। কিন্তু সম্মান আপনাকে জানাতেই হবে!
প্রসংগত, হিরো আলমকে মানুষ পছন্দ করেছেন এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ তাকে ভোট দিয়েছেন। এর পেছনে কারণ কী সেটা নিয়ে অনেকে বলছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি যারা করেন তারা নিজেদের স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করেন, এরা সাধারন মানুষকে চিনেন না। তবে হিরো আলম নির্বাচিত হলে তিনি আর যাই করুক অর্থ আত্মসাৎ করতে পারবে না। তবে তাকে গরীব শ্রেনীর মানুষ অধিক ভোট দিয়েছেন বলে মনে করেন অনেকে।