বগুড়ার ছেলে মোহাম্মদ আশরাফুল হোসেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে হয়ে ওঠেন একজন ভিন্নধারার হিরো। এরপর তার নাম পরিচিতি পায় হিরো আলম হিসেবে। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বিভিন্ন মিউজিক ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে নিজেকে একটি ভিন্ন স্থানে নিয়ে যান। এই তরুণ এখন বাংলাদেশের মানুষের নিকট ভিন্ন ধারার অভিনেতা হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত একটি নাম। তিনি বর্তমানে ব্যস্ত থাকেন অভিনয়, গান, প্রযোজনা ও স্টেজ শো নিয়ে।
রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়ার অভিযোগে হিরো আলমকে ডিএমপির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রা’ইম বিভাগে ডাকা হয়। সেখানে তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর থেকে আবারও আলোচনায় তার নাম। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন তিনি। একে একে আরব নিউজ, খালিজ টাইমস, ফ্রান টোয়েন্টিফোর, এএফপি, বিবিসি ওয়ার্ল্ড হিরো আলমের সংবাদ প্রচার করে।
এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা মিশা সওদাগর বলেন, ‘হিরো আলম জানে কীভাবে নিজেকে ফোকাসে আনতে হয়। সে অবশ্যই একজন প্রতিভা। এখন সে আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমের একজন হয়ে উঠেছে।
হিরো আলমের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তার (হিরো আলম) সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার না করার কিছু নেই। সে মানুষ। চরিত্রটি ভালো লাগলে অবশ্যই করব। সঙ্গে দেখবো, সেখানে আর কে কে অভিনয় করছে। সে (হিরো আলম) অভিনয় করছে, কিন্তু অশ্লী”ল তো আর কিছু করছে না।’
গুগল সার্চে বাংলাদেশের শীর্ষ তারকা হিরো আলমকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মিশা সওদাগর বলেন, বাংলাদেশের শীর্ষ তারকা হিসেবে তার নাম আসলে সেটা অবশ্যই বিব্রতকর।
প্রসঙ্গত, মিউজিক ভিডিওতে পরিচিতি পেয়ে অভিনয় শুরু করেন হিরো আলম। তারপর গানের জগতে প্রবেশ। কিছু দিন পর, তিনি তার ইউটিউব চ্যানেলে নতুন গান প্রকাশ করেন, যা কয়েক ঘন্টার মধ্যে লক্ষ লক্ষ ভিউ পেয়েছে। তিনি বেশ কয়েকটি ভাষায় গান গেয়েছেন। এছাড়া তিনি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। নায়ক হিসেবে তিনি অন্যদের মত না হলেও তার সিনেমা দেখার জন্য কৌতুহলী হয়ে থাকেন। যে সমস্ত গান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে থাকে, তিনি সেই সমস্ত গানও গেয়ে থাকেন।