দ্বাদশ নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক পরিকল্পনা করছে সরকার। আবারও ১৪ ও ১৮ সালের মতো কীভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকা যায় সেই পথেই হাঁটতে বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে তারা।তারা জানে জণগণের ভোটে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না।আর এই কারণে তারা সংবিধানের দোহাই দিয়ে আবারও একতরফা নির্বাচন করতে চায়।সে জন্য তারা বিএনপির আন্দোলনকে দমাতে রাষ্ট্রীয় বাাহিনী ব্যবহার করছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়া হা পিত্যেশ করা বুদ্ধিজীবীদের রাজনীতির অভিজ্ঞতা কী? একটা সংগঠন বা আন্দোলন কীভাবে সংগঠিত করতে হয় সেটা কখনো হাতে কলমে তারা করেছে? একটা বড় সমাবেশ সফল করতে কীভাবে কর্মীদের গুছায়ে নিয়ে যাইতে হয়, জানে ওরা?
একটা মিছিল অর্গানাইজ করেছে কখনো কোনদিন? কোন হরতালে পিকেটিং করেছে। পুলিশের সাথে মাইরপিট করেছে? সরকারি গুন্ডাবাহিনীর সাথে ফাইট দিছে? আইডেন্টিফাই করতে পারবে, কখন রণে ভঙ্গ দিয়ে নিরাপদে পালায়ে যাইতে হবে? জানে তারা, কীভাবে মাঠের শক্তিকে সংহত রাখতে পুরা টিম নিয়া নিরাপদে পলায়ে থাকাতে হয়? আদালতের মামলা কীভাবে সামলাইতে হয়। কর্মীরা কারাগারে গেলে ওই সময়টা কীভাবে কর্মীকে সাপোর্ট করতে হয়?
নিজে চোখে কোন গণ আন্দোলন দেখছে? সবগুলার উত্তর না।
যারা আমাদের লড়াইয়ের ভবিষ্যৎ নিয়া বিশাল বিশাল এনালাইসিস করিচ্ছে। তাদের এই প্রশ্নগুলা কইরেন। জিগাইয়েন, ভাই, আপনার পলিটিক্যাল ক্রেডেনশিয়াল কী? আপনি আছেন হাওয়ার উপ্রে আর বাক্য ঝাড়িচ্ছেন বোম্বাস্টিং, য্যান আপনি দাদা সিরাজুলের গুরু। আপনারে কে কইছে মাঠের রাজনীতি কেমনে হবে সেড্যা কইতে।
বিএনপি জিন্দেগীতে আপনার কথা শুইন্যা তার রাজনীতি করবে। তার রাজনৈতিক কৌশল ঠিক করবে? হাসিনা কোনদিন মুর্গি কবীরের বাতেলা শুইন্যা আওয়ামী লীগের রাজনীতি ঠিক করবে? আপনার কোয়ালিটি হইতেছে মুর্গি কবীরের আপনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির মেম্বার হইতে চাইলে হবে? আপনি বিএনপিতে জয়েন দ্যান, হিম্মত থাকে তো। মাঠে মাইর খাইয়া দেখেন, কতো মজা মাঠের রাজনীতিতে।