অভিনেত্রী হুমাইরা হিমুর মৃত্যুর পর মেকআপ আর্টিস্ট মিহিরের নাম শোনা যাচ্ছে। আত্মহত্যার সময় তিনি হিমুর বাড়িতে ছিলেন। এদিকে, ২০১৮ সালে অভিনেত্রী তাজিন আহমেদের মৃত্যুর সময়ও মিহির উপস্থিত ছিলেন।
হিমু ও তাজিন দুজনেই নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করত। নিঃসঙ্গ অভিনেত্রীদের সাথে মিহিরের সম্পৃক্ততা নিয়ে সন্দেহ অনেকের মনে দানা বেঁধেছে। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন মিহির। তিনি বলেন, হিমুর প্রেমিক জিয়াউদ্দিন উরফি একজন ভারতীয়।
মিহির বলল, আমি না থাকলে হিমুর প্রেমিক তাকে ঘরের মধ্যে ঝুলিয়ে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যেত। হবে না? কেউ বলছে না তুমি ছিলে বলে আমরা হিমুকে বের করে আনতে পারব নাকি পুলিশ ধরতে পারবে।
এ সময় তিনি বলেন, হিমুর প্রেমিক ভারতীয়। না হলে সেই ছেলেটা কখন যে হিমুকে ছেড়ে পালিয়ে যেত। ঠাণ্ডা মাথায় পালিয়ে গেল। কেউ বলে না আমি ভালো আছি। সব খারাপ, আমি রাবন। পারলে আমাকে ফাঁসি দাও। তোমার একজন মানুষ আছে, যে আমার পাশে দাঁড়াবে। আমাকে খুঁজছিল। কেমন আছি, কষ্ট পাচ্ছি। আমি মানুষ নই, আমি কষ্ট পাচ্ছি না হিমু আমার বোনের মতো মারা গেছে, আমি ভিতরে ভিতরে খুশি, আমার ভাল লাগছে। সবাই আমার সম্পর্কে খারাপ কথা বলার জন্য সারিবদ্ধ।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে নিজ ফ্ল্যাটে ফ্যানের হ্যাঙ্গারে ঝুলন্ত অবস্থায় হিমুর মরদেহ পাওয়া যায়। এরপর মিহির, উরফি জিয়া ও বাড়ির দারোয়ান তাকে উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক হিমুকে মৃত ঘোষণা করেন।
হিমু ২০০৫ সালে ছোট পর্দায় প্রবেশ করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই জনপ্রিয়তা পান তিনি। তার অভিনীত নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউসফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’। হিমু চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। ২০১১ সালে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ ছবিতে অভিনয় করেন। এ ছবিতে অরু চরিত্রে দেখা গেছে তাকে।