ক্ষমতসীন সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে শেষ করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয় গণতন্ত্রে ব্যবস্থা ধ্বংস করে একনায়কতন্ত্রের রাজত্ব কায়েম করছে। উন্নয়নের নামে দেশে দু/র্নীতি ও লু/টপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি সংকটের মুখে ফেলেছে। অথচ উন্নয়নের দেশ ভাশিয়ে ফেলছে মুখ দিয়ে তাদের নেতাকর্মীরা। বিরোধী দল বিএনপি নানা ইস্যুতে আন্দোলন করছে কিন্তু সরকার সেটি প্রতিহত করতে নানা ভাবে দমন পীড়ন চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন পিনাকী ভট্টাচার্য। এ প্রসঙ্গে সামাজিক যো/গাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যা/টাস দিয়েছে পিনাকী ভট্টাচার্য পাঠকদের জ/ন্য হুবাহু নিচে তুলে ধ/রা হলো।
বাকশালের আকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা, কে তাকে দেবে আশা কে ভরসা? শেখ হাসিনার কপালে এও ছিলো? শেখ হাসিনাকে এও দেখতে হলো টোকাইগুলোকে দিয়ে রাতের আধারে মাইকিং করে বিএনপির জনসভায় না যাওয়ার জন্য হুমকি দিতে হলো। রাস্তায় কাপুরুষের মতো সভায় আগত মানুষদের উপরে হামলা করা হলো কিন্তু তারপরেও চট্টগ্রামের বিএনপির জনসভা জনসমুদ্র হয়ে গেলো। আওয়ামী লীগের টোকাইয়েরা যে ডরে গর্তে ঢুকলো আর বাইর হইতেছে না। ভাই একটু বাইর হন গর্তে থেকে। বিএনপির জনসভা শেষ।
কিন্তু এইযে আওয়ামী লীগ গর্তে ঢুকলো, এইটা কেন হইলো?
সফট বিগিনিং
হাসিনার কতো সমস্যা দেখেন। হাসিনার হাতে টেকা নাই। টেকা না থাকলে সবচেয়ে বড় সমস্যা টোকাইয়েরা হেলমেট বাহিনীরা মাঠে নামেনা। প্রমাণ পাইলেন তো। মুখ রক্ষার জন্য রাতে মাইকিং করবে আর কাপুরুষের মতো আসার পথে বাসে হামলা করবে। একদিকে টেকা নাই আরেকদিকে র্যাবের উপরে স্যাংশন, সে যে বিরোধীদলরে পিটাইবে সেইটাও পারতেছে না। কারণ র্যাব তো গেছেই পুলিশ ও রিস্ক নিতেছে না। আবার স্যাংশন যদি পায় তাইলে টেকা টুকা যা কামাইছিলো সেইটা যে বিদেশে পাচার করছে, পোলারে বিদেশে পড়াইতেছে, ভাবীরে বাসা বানায়ে বেগমপাড়ায় রাখছে সব তো মায়ের ভোগে চলে যাবে। বেঞ্জিররে আমেরিকা পাঠায়ে ভাবছিলো পুলিশের আর র্যাবের সেই হারানো জোস ফিরায়ে আনবে। কাম হয় নাই। তাই আমেরিকা গিয়া দুই সপ্তাহ বইস্যা ছিলো। এরে ওরে ধরছে একটাবার ব্লিনকেন একটা বার পোলসির সাথে দেখা করার জন্য যেন দেখা করে বলতে পারে স্যাংশনটা তোল বাবা। কেউ দেখা করে নাই। সে নাকি রাগারাগিও করছে তথ্য বাবার সাথে কী করতেছো কারো লগে দেখা করায়ে দিতে পারতেছো না কেন? এমব্যাসির লোকেদের ঝাড়ি দিয়া সোজা কইরা দিছে কিন্তু কাম হয় নাই। শোনা কথা, সত্য মিথ্যা জানিনা। তবে যাহা রটে তার কিছুটা তো বটেই।
হাসিনা যদি আমারে বলতো তাইলে আমি ঠিকই ব্লিংকেনের সাথে দেখা করার বুদ্ধি বাতলায়ে দিতাম। আপনারা জানেন আমার স্ট্যাটেজি সব শিওর শট। বলবো এখন, নাকি পরে। বলি না?।না থাক হাসিনা তো শুনে না আমার বুদ্ধি। তিনি তো আমার কথা রাখবেন না তিনি রাখবেন ভুট্টো সাহেবের কথা। যাই হোক পরে বলতেছি। এখন আসেন আলাপ করি হাসিনার এখন কী দশা?
সফট বিগিনিং
শেক্সপিয়রের একটা নাটক আছে রিচার্ড দ্য থার্ড। সেক্স পিয়ার না কিন্তু শেক্সপিয়ার। চাপাই আর রাজশাহীর লোকেরা ভালো উচ্চারণ করতে পারবে। ওরা সেক্সকে বলে শেক্স। যাই হোক এই রিচার্ড দ্য থার্ডের শেষ দৃশ্য রাজা রিচার্ড এর যুদ্ধ হইতেছে রিচমন্ডের সাথে তো রিচার্ডের এর ঘোড়া গেছে মারা। ঘোড়া ছাড়াই যুদ্ধ করতেছে রিচার্ড কিন্তু ঘোড়া ছাড়া আর কতোক্ষণ যুদ্ধ করা যায় এইবার স্বয়ং রাজা রিচমন্ড আসতেছে তারে মারতে। তো রিচার্ড দৌড়াইতেছে যুদ্ধক্ষেত্রে আর চিল্লাইতেছে এ হর্স ফর এ হর্স মাই কিংডোম ফর এ হর্স। মানে আমাকে একটা ঘোড়া দাও আমি আমার রাজ্য দিয়ে দেবো। এর কিছুক্ষন পরে অবশ্য রিচার্ডকে রিচমন্ড জয় বাংলা করে দেয়। তো হাসিনা তার র্যাবের ঘোড়া হারায়ে একটা মিটিং এর জন্য ফ্যা ফ্যা করে ঘুরলো আমেরিকায়। আর চিল্লাইলো এ মিটিং ফর এ মিটিং মাই জমিদারি ফর এ মিটিং, মাই নৈশ ভোট ফর এ মিটিং, মাই তাহাজ্জুদ ফর এ মিটিং। কেউ সাড়া দিলো না। এখন হাসিনার নাটকের শেষ অংক চলতেছে আরকি। কিছু পরেই যবনিকা।
তো হাসিনার চ্যাংড়া প্যাংড়া কেন চিটাগাং এ নামলো না?
সফট বিগিনিং
প্রথমত টেকা পায় নাই। টেকা না পাইলেও ওরা কাজ করে। পোষ্ট পেইড হিসেবে। পরে ভাউচার জমা দেয়। কিন্তু টেকাটুকার অবস্থা জয় বাংলা হয়ে যাওয়ার পরে কাদের বলছে নেত্রীর হুকুম ছাড়া কোথাও হামলা করা যাবেনা। মানে বুচ্ছেন তো। মানে হইতেছে হামলা কইর্যা আইস্যা ভাউচার সাবমিট করবা সেইটা হবেনা। আগেই এপ্রুভাল নিতে হবে। আপানারা অনেক হাসাহাসি করছেন কিন্তু সরল হিসাবটা বুঝেন নাই। হাসিনা ওদের কেন নামতে বলে নাই।
সফট বিগিনিং
হাসিনা বুঝতে পারছে চিটাগং এ মিটিং বানচাল করতে গেলে চিটাগং হাসিনার হাতছাড়া হয়ে যাবে। চিটাগাং থেকে ওই রাতেই আওয়ামী লীগরে সাম্পানে করে গভীর সমুদ্রে পলাইয়া যাইতে হবে। ওইটা চিটাগাং মেজর জিয়ার দৃপ্ত কন্ঠে এইখানেই ঘোষিত হয়েছিলো উই রিভোল্ট। ওই মাটিতে বিএনপির সাথে পাঙ্গা নিবে আওয়ামী লীগ। হা হা হা। প্যান্ট নষ্ট করে ফেলবে। হাসিনা জানে আমাদের হারানোর কিছু নাই। হাসিনা জানে এই স্পিরিটেড বিএনপির সামনে দাড়ানোর নৈতিক ও সাংগঠনিক শক্তি তার দলের লোকের নাই।
বাই দ্য ওয়ে হামলা টামলা করতে আসলে বাকশালিদের বিতাড়িত তো করবেনই। দুয়েকজনকে ধরে রাখবেন। না না খবরদার মারবেন না, রক্তারক্তি হিংসা না অহিংসা অহিংসা শান্তি শান্তি। শুধু জামা কাপড় খুলে শুধু জাঙিয়া সহ পাছায় একটা বাড়ি দিয়ে তাড়ায়ে দিবেন। হাড্ডিতে বাড়ি দিয়েন না, মাংসে দিয়েন মজা পাবেন।।আর জামা কাপড় টা বাশের ডগায় লাগায়ে উড়াইবেন। ওইটা দূর থেকে দেখেই প্যান্ট ভিজায়ে ফেলবে বাকি বাকশালি টোকাইয়েরা। এইটারে সিগনেচার বানায়ে ফেলবেন। তাইলে দেখবেন বিএনপির মিছিল দেখলে ধারে কাছে বাকশালিরা আসবে না।
এইবার বলি কীভাবে ব্লিংকেনের সাথে দেখা করতে পারতো হাসিনা।
মানিক বন্দোপাধ্যায়ের পদ্মা নদীর মাঝির শেষ দৃশ্যের কথা মনে আছে? কুবের ময়না দ্বীপে যাবে নৌকায় উঠতে যাইতেছে কুবের। তখন তার শালী কপিলা এসে বললো আমারে নিবা মাঝি লগে? তারপরে মানিক বন্দোপাধ্যায় বলছে, হ কপিলা চলুক সঙ্গে।
তো আমাদের কনক সারোয়ার ব্লিংকেনের সাথে মিটিং করতেছিলো না সেই সময়েই। যখন হাসিনা আমেরিকায়? তো হাসিনা ব্লিংকেনের সাথে কনক সারোয়ারের মিটিং এর আগে কনক সারোয়াররে যাইয়া বলতো, আমারে নিবা কনক লগে?
আমরা সারা দেশ থিকা চিক্কুর দিতাম হ হাসিনা চলুক সংগে।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতসীন আওয়ামীলীগ ক্ষমতা ধরে রাখতে যে কৌশল অবলম্বন করছে সেটি কখনো দেশের জনগণ সমার্থন দেয় না বলে মন্তব্য করেন পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, দমন পীড়ন করে জন দাবি বন্ধ করা কারর পক্ষ সম্ভব নয়।