সম্প্রতি একতরফা নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে নিয়ে ফেলেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ। তারা ১৪ ও ১৮ সালের মতো আবারও পাতানোর নির্বাচন করে ক্ষমতায় ধরে রাখতে চায়।যার কারণে বিরোধী দল বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে নানা রকম দ/মন,পী/ড়ন চালিয়ে যাচ্ছে।অথচ তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে বদ্ধপরিকর।কিন্তু বাস্তব চিত্রে ভিন্ন বিষয় ফুটে উঠছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
হাসিনা জানে আগামীতে তার গোয়ার্তুমির ফলে কী হইতে যাইতেছে। সে জানে বাংলাদেশে একটা দুর্ভিক্ষ শুরু হবে। তাও সে একটা ফেয়ার নির্বাচন হইতে দিবেনা। যেই দুর্ভিক্ষ সে দাওয়াত কইরা নিয়ে আসতেছে সেই দুর্ভিক্ষের দায়ও সে নিবেনা। সেই দায় চাপাইবে সে বিএনপির উপরে। যেন দুনিয়াতে সেই শুধু শুদ্ধ মানুষ আর সবাই তার মতো ভালো মানুষের পিছে লাগে।
সার আমদানির টেকা নাই। সামনে বোরোর সিজন। বোরো ধান হবেনা। দুর্ভিক্ষ তো সেইজন্য হবে। অবশ্য আওয়ামী শাসনের সাথে দুর্ভিক্ষ অবিচ্ছেদ্য। দুর্ভিক্ষ হলে ষোলকলা পুর্ণ হয়। শেখ মুজিবের কন্যার ভুমিকায় হাসিনা সফল। এক দলীয় ভোটও তো হয়েই যাচ্ছে।
সে বাইচা থাকলে নাকি সব সামলায়ে নিবে। তো এখন সে দুর্ভিক্ষের ভয়ে কাতর কেন?
ভাতার, আর নব্য প্রেমিকেরা কি তারে আর ভরসা দিতেছে না? দুনিয়াতে কোন দেশ আরেকটা ডুবন্ত দেশের দায় নিতে পারেনা। কোন দেশেরই সেই অসীম ক্ষমতা নাই। প্রায় একশো বিলিয়ন ডলারের একটা ইকোনোমিরে কোন বাপের বেটা নাই ঋণ দিয়া ঠেকা দিয়া রাখতে পারে। দেশের অর্থনীতির যে বিপুল রক্তক্ষরণ হইছে আওয়ামী লুটপাটের ফলে সেইটা সামলানোর ক্ষমতা নাই আওয়ামী লীগের। সবাই অবাধে খাইতে পারবে সেইজন্যই হাসিনার হাসিনা চাটে। খাইতে না পারলে হাসিনার হাসিনা চাইট্যা লাভ কী? হাসিনা কেমনে ইলেকশন পর্যন্ত যায় আর কেমনে ইলেকশন করে সেই মজা দেখার জন্য মুড়ির টিন নিয়া বসছি। বিশ্ব ইতিহাসের একটা বিশাল কৌতুকের বিষয় হবে হাসিনার পতনের সময়গুলা। কীভাবে একটা পরাক্রমশালী ফ্যাসিস্টের নির্মম ও কৌতুককর পতন হয় তা এই পৃথিবী অনেকদিন মনে রাখবে।
হাসিনা ল্যাস্পেন্সারেরা তখন কী বলবে। কী বলে মুখ লুকাবে। কী বলে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করবে সেটা হবে আরেক কৌতুক।