আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকতে ভোট ব্যবস্থা শুধু শেষ করেনি দেশের গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করেছে। যার কারনে দেশের মানুষ তাদের তাদের বাক স্বাধীনতা হারিয়েছে। অথচ তাদের নেতারা গণতন্ত্রের বড় বড় বুলি বলে বেড়াচ্ছে। লাগাতার দুর্নীতি ও লু/টপাটের জন্য দেশের অর্থনীতি হু/মকির মুখে। রিজার্ভ সংকটে ভুগচ্ছে দেশ কিন্তু সরকার তার ব্যর্থতা ঢাকতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে বলে জানান পিনাকী ভট্টাচার্য। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যো/গাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য পাঠকদের জন্য হু/বাহু নিচে তুলে ধরা হ/লো।
বাংলাদেশের অবস্থা হাসিনা মাজুল করে দিছে তখন কেউ কেউ এসে বলে বিএনপি আসলে কি দেশের অবস্থা ভালো হয়ে যাবে? এহেন প্রশ্নের উত্তরে আমার বলা উচিৎ আমি কি জ্যোতিষী যে ভবিষ্যৎবাণী করবো নাকি আমি বিএনপির চেয়ারপারসন যে আমি প্রতিশ্রুতি দেবো? এই প্রশ্নটা ভুল।
দেশের অবস্থা নানা কারণেই মাজুল হতে পারে। যেমন ধরেন ইউরোপের অবস্থা মাজুল হইছে ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য। বাংলাদেশের অবস্থা মাজুল হইছে হাসিনা আর তার পোষ্যদের লুটপাটের জন্য। হাসিনা আর তার পোষ্যরা যে লুটপাট করছে এইটা বুঝার জন্য তো আইনস্টাইন হইতে হয়না। তাইনা? আপনি নিজের জীবন দিয়াই এইটা বুঝতেছেন। সব দেশের মানুষের তো একটা অপশন থাকে ভোট দিয়া সে শাসক বদলাইবে। থাকেনা? আমরা তো ভোট দিতে পারতেছি না লাস্ট দুই টার্ম। হাসিনা চুরি করে প্রতারণা করে নৈশ ভোট করে ক্ষমতায় থাকতেছে। তাই প্রশ্ন হইতেছে হাসিনার বদলে বিএনপি আসবে নাকি আসবে না সেইটা না। প্রশ্ন এইটাও না যে হাসিনার বদলে যারা আসবে তারা দুর্নীতি করবে নাকি করবে না। এক নাম্বার প্রশ্ন হচ্ছে আপনি ভোট দিয়া শাসক বদলাইতে পারবেন কিনা? হাসিনা এতো বাধাহীন দানব হইতে পারছে এইজন্যই যে তার ক্ষমতার জন্য পাব্লিকের ভোটের দরকার নাই।
প্রসঙ্গত, সরকার পরিবর্তন হলেই সবকিছুর সমাধান হবে এমন নয় কিন্তু জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে পছুন্দের ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার ক্ষমতা তো পাবে বলে মন্তব্য করেন পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের সুযোগ পাওয়াটাই মূখ্য বিষয়।