সম্প্রতি ক্ষমতায় থাকার জন্য বর্তমান সরকার নতুন নতুন কৌশল নিচ্ছে।তারা আবারও ১৪ ও ১৮ সালের পথেই হাঁটার পাঁয়তারা করছে।যার প্রমাণ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্বিচারের গ্রেফতার।শুধু তাই বিএনপির আন্দোলনকে দমাতে রাষ্ট্রীয় বাহিনী দলীয় নেতার মতো করে ব্যবহার করছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের ভয়-ভীতি মধ্যে রাখার জন্য রাষ্ট্রীয় বাহিনী তাদের পরিবারের সদস্যসহ আত্মীয়-স্বজনদের গ্রেফতার করছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
যেকোন একটা ঘটনার কমপক্ষে সাতটা ন্যারেটিভ থাকা সম্ভব। আপনি কোন ন্যারেটিভ তৈরি করবেন সেটা আপনার চিন্তার জগৎ তৈরি করে দেবে। এটাকে মানে আপনার চিন্তার জগৎকে একাডেমিক ভাষায় বলে ওন্টোলজিক্যাল প্যারাডাইম। এর মানে মোটা দাগে আপনি জগৎ আর জ্ঞানকে কীভাবে ডিল করেন। আরো একটু খোলাসা করে বলি। ধরেন আপনি জানলেন হাসিনা একটা ম্যাসাকার করার পরিকল্পনা করেছে। এবং এই তথ্যটা সত্য।
আপনি কোন প্যারাডাইমে তার উপরে নির্ভর করবে আপনি এই তথ্যটা নিয়ে কী করবেন? আপনি এটা জেনে এটাকে অন্য সবাইকে জানিয়ে দিতে পারেন। এটা একটা অন্টোলজিক্যাল প্যারাডাইম। এইখানে আপনি জগতের সাথে ইন্টারাক্ট করেন না, জগতের সত্য যেটা যেভাবে আছে সেটা জানেন কিন্তু সেটা নিয়ে আপনার কোন এজেন্ডা নাই।
আবার এই তথ্য যদি আমার কাছে আসে। তাহলে আমি এটা জানাবো তো বটেই, আমি এই তথ্যটার সাথে এক্টিভ্লি এনগেইজড হবো, আমি আমার ভাষা দিয়ে এই রিয়েলিটিকে বা বাস্তবতাকে বদলে দেয়ার চেষ্টা করবো, আমি ম্যাসাকার থামায়ে দেয়ার চেষ্টা করবো। আমার এজেন্ডা আছে এইখানে। জগৎ সম্পর্কিত ঘটনায় আমি নীরব দর্শক না।
আবার ধরেন আরেকজন বলতে শুরু করলো রাজনীতি জিনিসটাই খারাপ, যেই যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ, আওয়ামী লীগ তো খারাপ, বিএনপি কি ভালো? ওরা আসলেও এই ঘটনাই ঘটবে, আগে দেখছি না কী হইছে। তিনটা ন্যারেটিভ পাইলেন। কোন ন্যারেটিভ কি মিথ্যা? না সবকয়টাই সত্য ন্যারেটিভ।
এই ন্যারেটিভের খেলায় আপনি কীভাবে বাকী ন্যারেটিভকে নাকচ করবেন। বাকী বয়ানগুলারে হুতায়ে দিবেন সেইটা আপনার কারিশমা। আর আপনি কোন ন্যারেটিভ ধইরা অন্যদের লগে ফাইট দিবেন সেইটা আপনার রাজনীতি। রাজনীতি মানেই বাইছ্যা নেয়া। বাইছ্যা নেয়ার বিষয় যেইখানে নাই, সেইটা রাজনীতি না।