ঢাকা ছেড়ে কোথায় আশ্রয় নেবেন শেখ হাসিনা! তা নিয়ে জল্পনা চলছে। সোমবার তাঁর বিমান গাজ়িয়াবাদের হিন্ডন এয়ারবেসে অবতরণ করে।শোনা যাচ্ছিল, তিনি লন্ডনে আশ্রয় নিতে চলেছেন। কিন্তু, ব্রিটেন শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার অনুরোধ গ্রহণ করেনি, সূত্রের খবর এমনটাই। সেক্ষেত্রে শেখ হাসিনা কোথায় আশ্রয় নেবেন? সবার দৃষ্টি সেদিকেই ছিল। এদিন তাঁর সঙ্গে দেখা করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সূত্র জানায়, ইউরোপের কোনো দেশ শেখ হাসিনাকে নিরাপদ আশ্রয়ের নিশ্চয়তা না দেওয়া পর্যন্ত তিনি ভারতেই থাকবেন। জানা গেছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর নারী বলয় তাকে ঘিরে রেখেছে। সূত্রের খবর, শেখ হাসিনাকে দিল্লির একটি অজ্ঞাত ‘নিরাপদ’ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সবসময়ই ভালো। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্র জানায়, নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বাংলাদেশের সেনাপ্রধান বিক্ষোভকারীদের শান্তি বজায় রাখার বার্তা দেন। একই সঙ্গে তিনি বাংলায় অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠনের ইঙ্গিতও দেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম মুখ নাহিদ ইসলাম সোমবার রাতে ঢাকায় একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকারের রূপরেখা প্রণয়ন করা হবে। অন্যদিকে হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজিদ জয় বিবিসিকে বলেছেন, তার মা আর কোনদিন রাজনীতিতে ফিরবেন না। কঠোর পরিশ্রম করেও কিছু মানুষ যেভাবে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছে তাতে হাসিনা খুবই হতাশ, এটাই জয়ের দাবি। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ছিলেন জয়।