সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের একটি সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে দেয়া মন্তব্য ঘিরে সোমবার (২১ অক্টোবর) দিনভর আলোচনা চলেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, আইনজীবী এবং সমাজের অন্যান্য অংশের মানুষ এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র কেন রাষ্ট্রপতির কাছে জমা হয়নি এবং রাষ্ট্রপতির মন্তব্য সঠিক কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এই প্রেক্ষাপটে লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার সকালে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দুটি পোস্ট দিয়ে আলোচনা করেন। তিনি লেখেন, “হাসিনার পদত্যাগপত্রের অবশ্যই ভূমিকা রয়েছে। এই পদত্যাগপত্রের উল্লেখ করেই হাসিনার সহযোগিতায় গণঅভ্যুত্থানকে তার ফ্যাসিস্ট সংবিধানের অধীনে আনা হয়েছে।”
ফরহাদ মজহার আরও প্রশ্ন তোলেন, “যদি হাসিনাকে উৎখাত করা হয়ে থাকে, তাহলে কেন তার ফ্যাসিস্ট সংবিধান বহাল আছে এবং কেন সেই সংবিধানের অধীনে শপথ নেওয়া হলো? কেন জনগণের অভিপ্রায়কে এভাবে নস্যাৎ করা হলো?”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের চেষ্টার কোনো যুক্তি নেই, এবং এর মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শক্তি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। জনগণের স্বার্থকে নষ্ট করে ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখা হয়েছে, এবং এই চাতুরির মাধ্যমে জনগণের বিপক্ষে শক্তিশালী ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয়েছে।”
ফরহাদ মজহার তার পোস্টে লিখেছেন, “গণঅভ্যুত্থানকে পূর্ণ বিজয়ের দিকে এগিয়ে নিতে ছাত্র-জনতা ও সৈনিকদের মধ্যে মৈত্রীর ভিত্তিতে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা যদি সঠিক রণকৌশল অনুসরণ করি, তবে জনগণের বিজয় নিশ্চিত হবে।”
এছাড়াও, মজহার তার ফেসবুক পোস্টে উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে বলেন, “গণঅভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করা উচিত। বর্তমান রাজনৈতিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজতে হবে এবং জনগণের শক্তি, বিশেষ করে ছাত্র-জনতা ও সৈনিকদের মৈত্রী, এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”