ভারত-বাংলাদেশ বন্ধত্ব বর্তমান সময়ে অকৃত্রিম বলে দাবি করা হয় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ পক্ষ থেকে। তার দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ বিভিন্ন বিষযের মাধ্যমে দেখিয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে আশানুরুপ সহযোগিত করেনি ভারত। এ বিষয়ে নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে বিরোধী দলসহ অনেক মহল। এবার ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো যারা এসেছেন সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পিনাকী ভট্টাচার্য। এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য পাঠকদের জন্য হুবাহু নিচে তুলে ধরা হল।
হাসিনাকে একজন জুনিয়র মন্ত্রী দিয়ে এয়ারপোর্টে রিসিভ করাটা কি স্ট্যান্ডার্ড প্রটোকল অনুসারে ঠিক আছে? হ্যা আছে, এতে কোন অসুবিধা নাই। তাহলে এটা নিয়ে আমরা কথা বলছি কেন?
কথা বলছি এইজন্য যে এই স্ট্যান্ডার্ড প্রটোকল ভাঙ্গার নজির মোদি নিজেই স্থাপন করেছে। প্রথমত তার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য সে প্রটোকল ভেঙ্গে এয়ারপোর্টে রিসিভ করতে গেছে। দ্বিতীয়ত ডিপ্লোমেটিক রিসিপ্রোসিটি বা মোদি অন্য দেশে যেই ট্রিটমেন্ট পেয়েছে তার দেশে একই ট্রিটমেন্ট ফেরত দিয়েছে। এই পিতলা খাতির সে করেছে, ওবামার সাথে, শিনজো আবের সাথে, সৌদি প্রিন্সের সাথে, নেতানিয়াহুর সাথে এমনকি হাসিনার সাথেও। সে প্রটোকল ভেঙ্গে এমন একটা রীতি স্থাপন করেছিলো যে, ভারত রাষ্ট্রের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও রাষ্ট্র কে সেটা দুনিয়াকে দেখিয়ে দেয়া।
গুরুত্বপূর্ণ অবজারভেশন হচ্ছে, হাসিনার জন্য এইবার সে প্রটোকল ভাঙ্গলো না। প্রশ্নটা এইখানেই, কেন সে প্রটোকল ভাঙ্গলো না বা ভাঙ্গার প্রয়োজন বোধ করলো না? কারণ হাসিনা ভারত রাষ্ট্রের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রপ্রধান আর নন। সেই কারণেই মোদি হাসিনার সাথে ডিপ্লোমেটিক রিসিপ্রোসিটি দেখানোর দায় বোধ করেনি। সে বাংলাদেশে যেভাবে এয়ারপোর্টে রিসিপশন পেয়েছে হাসিনার কাছে সেটা ফেরত দেয়ার দায় বোধ করেনি।
বেঞ্জির নিউইয়র্কের মাটিতে পা রাখতে পারলো কিনা সেইটা দেখিয়ে যদি ফাপড় নিতে পারেন। তাহলে হাসিনারে মোদি রিসিভ করে নাই এইটা বইল্যা খোচা খাওয়াটাও সহ্য করতে হবে।
এখন যদি মোদি বলে, দিদি খেয়ে এসেছেন নাকি গিয়ে খাবেন, তাহলে জমে ক্ষীর।
প্রসঙ্গত, একটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে এভাবে প্রটোকল দেওয়াটা কতটা যুক্তিসঙ্গত এমন প্রশ্ন তোলেন পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, বন্ধত্বের প্রতিদান এমন দিতে হয় সেটিই শেখালো ভারত।