বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং ভারতে বসে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই অসন্তোষের বার্তা ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির মাধ্যমে শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন।
বাংলাদেশ ও ভারতের ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) এই বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। এ প্রসঙ্গে মো. জসীম উদ্দিন বলেন, “ভারতে অবস্থানরত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আমাদের পছন্দ নয়। আমরা ভারতের পররাষ্ট্র সচিবকে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। তিনি নোট নিয়েছেন এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।”
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি সংক্ষিপ্ত সফরে সোমবার সকালে ঢাকায় আসেন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত এফওসিতে দুই দেশের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিক্রম মিশ্রি। দুই সচিবের আলোচনা প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে চলে।
বৈঠকে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রমের প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “ভারতে অবস্থান করে তিনি (শেখ হাসিনা) যে বক্তব্য রাখছেন, সেটি এই সরকার পছন্দ করছে না। আমরা বিষয়টি তাদের (ভারতের) কাছে উত্থাপন করেছি এবং জানিয়েছি, তার বক্তব্য দুই দেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না। তবে, তার বক্তব্য আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়।”
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব মিশ্রি বাংলাদেশের বার্তা গ্রহণ করেছেন এবং বিষয়টি যথাযথভাবে বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।