বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বর্তমান সময়ে অনেকটা অস্থির অবস্থায় পৌছ গিয়েছে। শুধু রাজনৈটিক নয় অর্থনৈতিক ভাবেও দারুন মন্দার দিকে ধাবমান। তবে ক্ষমতা থেকে হাসিনা সরকারকে সরাতে অনেকটা চেষ্টা করে চলেছে বিরোধী দলগুলো। এবার এই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন সমালোচক পিনাকী ভট্টাচার্য। তার পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-
রাশান বিপ্লব কীভাবে হয়েছিলো জানেন? মানে চুড়ান্ত লড়াইটা কী হয়েছিলো? কোন লড়াইই হয় নাই। মোটামুটি দুই আড়াইশো বিক্ষুব্ধ সৈনিক আর জনা বিশেক কমিউনিস্ট সেন্ট পিটার্সবার্গে শীত প্রাসাদে রাতে তেমন কোন প্রতিরোধ ছাড়াই দখল করে নেয়। একজন হাতে সামান্য আঘাত পেয়েছিলো। আর একটা জানালার কাচ ভেঙ্গেছিলো।
অবাক হইলেন? এমন মহান দুনিয়া কাপানো বিপ্লবের এই অবস্থা? জ্বি ভাই এটাই সত্য। আর অন্য কিছু আপনি জেনে থাকলে সেটা ভুল। বিপ্লবের অনেক পরে একটা আলাদা মহড়া করে তোলা ছবিকে রুশ বিপ্লবের ছবি বলে প্রচার করা হয়েছিলো।
রাশান বিপ্লবের ক্রুশিয়াল এলিমেন্ট কী ছিলো জানেন? জার্মান সাপোর্ট। জার্মানি সাপোর্ট না করলে বিপ্লবই হতো না। বিপ্লবের নেতা কোথায় ছিলেন জানেন? জুরিখে। রাশায় ফিরেছিলেন এপ্রিলে, বিপ্লব হলো অক্টোবরে। মাত্র ছয় মাস পরে। যেই লড়াই সংগ্রাম হচ্ছিলো সেটায় লেনিনের বা তার দলের লড়াই ছিলোনা। লড়াইটা ছিলো মুলত সৈনিকদের যারা যুদ্ধে যাইতে চাইতেছিলো না। সোভিয়েত ইউনিয়নের “সোভিয়েত” শব্দটা ছিলো সেই বিক্ষুব্ধ সৈনিকদের সংগঠন যারা যুদ্ধে যাইতে চাইতেছিলো না। রাশান বিপ্লব ছিলো একটা মিলিটারি ক্যু, মোটেই শ্রমিক কৃষকের বিপ্লবী উত্থান না।
বলশেভিক দলের ভুমিকা ছিলো এই ক্ষমতা দখলের বাস্তব পরিস্থিতিকে কার্যকরভাবে কাজে লাগানো।
এই গল্পটা কেন বললাম জানেন? আকেলমান্দ কি ইশারায় কাফি। রাজপথের আন্দোলনই সবসময়ে ডিসাইসিভ তা নয়। ফ্যাসিবাদকে আন্দোলন করে হঠানো যায় না। কারণ ফ্যাসিবাদ আন্দোলন করতেই দেয় না। ফ্যাসিবাদকে সবলে উৎখাত করতে হয় কোন পলিটিক্যাল অপারচুনিটিকে কাজে লাগিয়ে। নয়তো সর্বাত্মক যু”দ্ধ করে।
হাসিনাকে পরাস্ত করা হবে আন্তর্জাতিক চাপকে কাজে লাগিয়ে। হাসিনা গন কেইস, কিন্তু হাসিনা এখনো রেজিস্ট করতে সক্ষম। এখনো হাসিনা প্রত্যাঘাত করতে সক্ষম। এই সক্ষমতা নি:শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আমাদের গতি নাই। হাসিনা ঝড়ের এক ঝটকায় উড়ে যাবে, তেমন কোন প্রতিরোধ ছাড়াই। সেই ঝড় আসবে। খুব শীঘ্রই আসবে, তখন কয়েক ঘন্টায় বাংলাদেশের ইতিহাস পালটে যাবে। কাউকে ডাক দিতে হবে না লড়াইয়ের, কোন তারিখ ঘোষণা করতে হবেনা। ডাক দিবে মহাকাল। আরেকটু অপেক্ষা করুন।