বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা জায়েদ খান। অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি দর্শকদের মন জয় করেন। আলোচিত এই অভিনেতা বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়ে প্রায় আলোচনায় আসেন। এবার এই অভিনেতার সম্পর্কে যা বলা হল।
সিনেমার নায়ক সিনেমায় নেই, আছেন শুধু আলোচনা আর সমালোচনায়। বলছি ঢাকাই চলচ্চিত্রের এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা জায়েদ খানের কথা।
শিল্প সমিতির নির্বাচন, মৌসুমীকে নিয়ে ওমর সানির সঙ্গে বিরোধ, পপির বুকে পি’স্তল ঠেকানো, শাকিব খানের ওপর হামলা কিংবা হাসপাতাল দখলের মতো নানা ইস্যুতে তিনি সবসময়ই আলোচনায় থাকেন। তবে সিনেমায় সফলতার মাধ্যমেই যেখানে আলোচনায় থাকার কথা সেখানেই নেই জায়েদ খান।
জায়েদ খানের শেষ সিনেমাটি ২০১৯ সালে মুক্তি পায়। মুহাম্মদ আসলাম পরিচালিত সিনেমাটির নাম ছিল প্রতিশোধের আগুন। এতে জায়েদ খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী মৌ। বরাবরের মতোই তার এ সিনেমা ছিল ফ্লপ। জাহিদ হাসান পরিচালিত সোনার চর নামে একটি চলচ্চিত্র বর্তমানে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। যেখানে অভিনয় করেছেন দ্বন্দ্বে জড়ানো সেই মৌসুমী ও ওমর সানি।
জায়েদ খান ২০০৮ সালে ভালোবাসা ভালোবাসা সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। সিনেমা ক্যারিয়ারে শুরু থেকেই ব্যর্থ এই নায়ক। কাজের মানুষ, মন ছুঁয়ে যাওয়া মন, মায়ের চোখ, দাবাং, মাই নেম ইজ সিমিসহ অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
যদিও তিনি অভিনয় এবং চলচ্চিত্রের সাথে চুক্তিতে আসতে ব্যর্থ হন, জায়েদ খান তার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বিভিন্ন কারণে সমালোচিত হন। জায়েদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের শিল্পী সমিতি নির্বাচনে ঢালিউড তারকা শাকিব খানের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে।
২০২১ সালে শিল্পী সমিতিতে চিত্রনায়িকা পরীমণির সদস্যপদ স্থগিত করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সম্প্রতি ওমর সানিকে একটি বিয়ের আসরে পি’স্তল ঠেকানোর অভিযোগ নিয়ে চলছে বিতর্ক। দেড় বছর আগে ঠিক একই অভিযোগ করেছিলেন চিত্রনায়িকা পপিও।
এছাড়া পিরোজপুরের একটি হাসপাতাল দখল, শিল্পী সমিতির নির্বাচনে টাকা দিয়ে ভোট কেনা, মিথ্যা তথ্য ও জাল কাগজপত্র দেখিয়ে শিল্পী সমিতির শপথ নেওয়াসহ অসংখ্য অভিযোগে জর্জরিত জায়েদ খানের ক্যারিয়ার।
প্রসঙ্গত, জায়েদ খান বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ক্যারিয়ারের শুরু থেকে। তবে তিনি নায়ক হিসেবে তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি কিন্তু বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়ে আলোচনায় প্রায় এসেছেন।